নিজস্ব প্রতিবেদন : শীতের মরশুমে যখন কনকনে ঠান্ডায় কাঁপা দরকার, ঠিক সেই সময় সাগরে তৈরি হওয়া একের পর এক দুর্যোগ শীতের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই বঙ্গোপসাগরে যে একটি সিস্টেম তৈরি হচ্ছে তার প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা এখন ঊর্ধ্বমুখী। যেখানে দিন কয়েক আগে পর্যন্ত তাপমাত্রার পারদ নিম্নমুখী ছিল সেই জায়গায় এখন নতুন করে ঘাম ঝরছে দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দাদের।
হাওয়া কি সূত্রে জানা যাচ্ছে বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের সুস্পষ্ট নিম্নচাপটি (Low Pressure) ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে উত্তর-পশ্চিম দিকে। এই নিম্নচাপ দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে পৌঁছানোর পর আরও শক্তি সঞ্চয় করে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং তারপর রবিবার সেটি ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone) পরিণত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। যদি এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় তাহলে এর নাম হবে মিগজাউম (cyclone michaung)। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বাংলার উপর কতটা পড়বে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
বঙ্গোপসাগরে নতুন করে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরির প্রবণতা দেখা দেওয়া প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগামী কয়েক দিন আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা বাড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে আপাতত রবিবার পর্যন্ত রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
রবিবার পর্যন্ত রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলেও সোমবার থেকে রাজ্যের আবহাওয়ায় ব্যাপক বদল আসবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেননা বঙ্গোপসাগরে যদি এই সিস্টেম ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় তাহলে তা সোমবার পর্যন্ত অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ু বরাবর এগিয়ে গেলেও পরে তা বাঁক নিতে পারে। তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বাংলার উপর কতটা পড়তে পারে তার এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।
বঙ্গোপসাগরে এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলেও তার প্রভাব সরাসরি পশ্চিমবঙ্গের উপর পড়বে না বলেই আশা করা হচ্ছে। কেননা এখনো পর্যন্ত হাওয়া অফিসের তরফ থেকে বৃষ্টির তেমন কোন পূর্বাভাস দেওয়া হয়নি। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত যা জানানো হয়েছে তাতে পশ্চিমবঙ্গের উপর পরোক্ষভাবে এর প্রভাব পড়বে এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। মোটের উপর বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া দুর্যোগের ফলে পশ্চিমবঙ্গে শীতের প্রবেশে বাধা সৃষ্টি হবে।