নিজস্ব প্রতিবেদন : তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের দায়িত্বে রবিশঙ্কর প্রসাদ থাকাকালীনই সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে হৈচৈ তৈরি হয়েছিল দেশে। কেন্দ্র সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল ভারতে তাদের ব্যবসা করতে হলে মানতে হবে ভারতীয় আইন। তবে এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ, এই সম্প্রসারণের সময় মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিতে হয় রবিশঙ্কর প্রসাদকে। মনে করা হচ্ছিল তাহলে হয়তো এই সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে নরম সুর শোনা যাবে কেন্দ্রের নতুন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীর থেকে।
কিন্তু সে গুড়ে বালি। নতুন মন্ত্রী হিসাবে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের দায়িত্ব নিয়েই অশ্বিনী বৈষ্ণব সেখান থেকেই শুরু করলেন যেখানে থেমে ছিলেন প্রাক্তন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। কোনরকম রাখঢাক না রেখেই বৃহস্পতিবার দায়িত্ব গ্রহণ করার সাথে সাথেই টুইটারকে কড়া বার্তা দিয়ে তিনি জানিয়ে দেন, দেশের আইন সবকিছুর ঊর্ধ্বে। সুতরাং সেই আইন মেনে চলতেই হবে।
ভারতীয় আইন মেনে চলা নিয়ে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরেই টুইটারের সাথে বিবাদ চলে আসছে। যদিও দিন কয়েক আগেই ভারতীয় আইন এবং আদালতের সাঁড়াশি চাপে পড়ে টুইটারে তরফে জানানো হয়েছে আগামী ৮ সপ্তাহের মধ্যে অভিযোগ গ্রহণকারী আধিকারিক নিয়োগ করা হবে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নীতি মেনে একজন ভারতীয়কে এই পদে বসানো হবে বলেও জানানো হয়েছে। তবে তার পরেও নতুন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিতে ছাড়লেন না টুইটারকে।
নতুন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, নতুন আইটি আইন মেনেই চলতে হবে টুইটারকে। আর তা না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভারতের যেকোনো নাগরিক অথবা সংস্থা যারা ভারতে বসবাস করেন অথবা ভারতে ব্যবসা করেন তাদের সকলকেই মেনে চলতে হবে ভারতের আইন।