নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় পর্যায়ের দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। এই কর্মসূচিতে সরকারি প্রকল্পের কমকরে ১৮টি পরিষেবা প্রদান করা হচ্ছে। তবে এই সকল সরকারি প্রকল্পের মধ্যে সবার নজর লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের দিকে। কারণ এই প্রকল্পের মাধ্যমেই রাজ্যের সাধারণ শ্রেণীর মহিলাদের মাসে মাসে ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলাদের মাসে মাসে হাজার টাকা করে দেওয়া হবে হাত খরচের জন্য।
তবে এই প্রকল্পের ফর্ম ফিলাপ নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় নানান অভিযোগ উঠতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কোথাও টাকার বিনিময় ফর্ম বিলি, আবার কোথাও অভিযোগ উঠছে নানান ধরনের জালিয়াতির। এই সবের পরিপ্রেক্ষিতে এবার আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো রাজ্য সরকার।
এদিন নবান্নের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই ফর্ম ফিলাপ প্রক্রিয়ায় কোন পঞ্চায়েত সদস্য অথবা কোন ক্লাবের সদস্যরা যুক্ত হতে পারবেন না। এই ফর্ম ফিলাপ করার জন্য প্রয়োজনে কন্যাশ্রী সেলফ-হেল্প গ্রুপ অথবা কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। পাশাপাশি বলা হয়েছে আশা, অঙ্গনওয়াড়ি অথবা সেল্ফ হেল্প গ্রুপের মহিলাদের এই কাজে লাগানো যেতে পারে। গোটা বিষয়টি তদারকির জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই এই ফর্ম ফিলাপ করার জন্য নির্দিষ্ট নম্বরে একাধিক অভিযোগ এসেছে ফরম ফিলাপ থেকে শুরু করে আরও একাধিক ক্ষেত্রে টাকা নেওয়া এবং জালিয়াতির। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই উপভোক্তাদের সতর্ক করে দিয়েছিলেন কোনভাবেই যেন কোন জায়গা থেকে ফরম সংগ্রহ না করা হয়। পাশাপাশি ফর্মের সাথে ইউনিক নম্বর চালু করেছিলেন। তবে তার পরেও এমন ধরনের অভিযোগ আশার পরিপ্রেক্ষিতে এবার আরও কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটলো রাজ্য।