Leave Bakkhali and travel at the new travel spot New Bakkhali: পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বকখালির নাম আমরা অনেকেই শুনেছি। পর্যটকের বেশ ভিড় হতে দেখা যায় সেখানে। কিন্তু নিউ বকখালীর (New Bakkhali) নাম শুনেছেন কি? এখনো পর্যন্ত যদি নিউ বকখালীর সাথে পরিচিত না হয়ে থাকেন তাহলে আর দেরি নয়, তাড়াতাড়ি ঘুরে আসুন নিউ বকখালি থেকে। স্কুলগুলোতে গরমের ছুটি পড়ে গেছে। তাই হাতে ২/১ দিন সময় নিয়ে এই বৈশাখেই নিউ বকখালীর সাথে পরিচয় পর্বটা সেরে ফেলতে পারেন।
নিউ বকখালীর (New Bakkhali) প্রাকৃতিক পরিবেশ এতটাই শান্ত, নিরিবিলি যে কিছুটা সময় সেখানে কাটাতে মন্দ লাগবে না আপনার। তটভূমি, নদী, জঙ্গল এসব দিয়ে ঘেরা এলাকাটিতে বেশ কিছুটা সময় কাটিয়ে দেওয়া যায় একান্তে। বর্তমানে প্রেমিক-প্রেমিকাদের কাছে এই জায়গাটি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কারণ, নদীর ধারের ঘন জঙ্গলে খুব সহজেই হারিয়ে যাওয়া যায় দুশ্চিন্তা থেকে দূরে একান্ত প্রকৃতির মাঝে।
নিউ বকখালি (New Bakkhali) কিন্তু একেবারে আপনার বাড়ির পাশেই। খুব কম সময়ে, কম খরচে পৌঁছে যেতে পারবেন এই এলাকায়। কলকাতা থেকে নিউ বকখালির দূরত্ব মাত্র ৯০ কিলোমিটার। যাতায়াতের কোন অসুবিধা নেই। কলকাতা থেকে ট্রেনে করে অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই পৌঁছে যেতে পারবেন নিকটস্থ কোন রেল স্টেশনে। তারপর সেখান থেকে টোটো ধরলেই পৌঁছে যাবেন নিউ বকখালি। উকিলের হাট রেল স্টেশনটি নিউ বকখালির খুব কাছেই পড়ে। তবে আপনি চাইলে কাকদ্বীপ হয়েও যেতে পারেন।
আরও পড়ুন ? Tourist Destination: হাতে সময় কম! একদিনের দিনের জন্য ঘুরে আসতে বেছে নিন হাতের কাছেই থাকা এই স্পট
কলকাতা থেকে ট্রেনে করে যেতে চাইলে, শিয়ালদা থেকে ট্রেনে উকিলের হাট অথবা কাকদ্বীপ চলে যেতে পারেন আপনারা। খরচ পড়বে মাত্র ১৫ টাকা। এরপর উকিলের হাট কিংবা কাকদ্বীপ থেকে টোটো করে সোজা চলে যেতে পারবেন নিউ বকখালি। উকিলের হাট থেকে নিউ বকখালি পর্যন্ত যেতে টোটো ভাড়া পড়বে মাত্র ৩০ টাকা। কলকাতার ভিড়, হইচই এড়িয়ে প্রকৃতির বুকে এমন নিরিবিলি, শান্ত পরিবেশে পৌঁছাতে যাতায়াত খরচ পড়বে মাত্র ১০০ টাকারও কম।
জায়গাটি এতটাই মনোরোম যে, এখানে দিব্যি কাটিয়ে দেয়া যায় বেশ কিছুটা সময়। নদীর ধারে বসে থাকলে কখন সময় পেরিয়ে যাবে আপনি বুঝতেও পারবেন না। সারাদিনের ক্লান্তি এড়িয়ে মাত্র ১ থেকে ২ দিনের জন্য নিরিবিলিতে কাটিয়ে যেতে পারেন নিউ বকখালি (New Bakkhali) থেকে। তবে এখানে আসতে চাইলে বাইরে থেকে খাবার নিয়ে আসবেন। কারণ, এখানে আশেপাশে খাবারের তেমন ব্যবস্থা নেই। আর খেয়াল রাখবেন, জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় আগুন জ্বালানোর চেষ্টা করবেন না। জঙ্গলের শুকনো পাতায় বিপদের সম্ভাবনা থাকতে পারে।