নিজস্ব প্রতিবেদন : গতবছর বাজেট অধিবেশন পেশ করার সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেছিলেন, বাজারে আনা হবে এলআইসি আইপিও। সরকারি এই সংস্থার আইপিও আনার মধ্য দিয়ে রাজকোষ ভরার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। চলতি বছর বাজেটের পর সেই পরিকল্পনা একেবারে বাস্তবায়িত হওয়ার মুখে।
এলআইসির আইপিও বাজারে আসা নিয়ে বহু মানুষের মধ্যেই চরম কৌতূহল রয়েছে। কারণ যে পরিমাণ অর্থের আইপিও বাজারে আসতে চলেছে তা ভারতের শেয়ার বাজারে এর আগে কখনো আসেনি বলেই মতামত পোষণ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। মানুষের এই কৌতূহলের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছিল মার্চ মাসের ১১ তারিখ লঞ্চ হতে পারে এলআইসির আইপিও। পরে ১৩ অথবা ১৪ তারিখ থেকে যেকোনো বিনিয়োগকারী ব্যক্তি এই আইপিওতে ইনভেস্ট করতে পারবেন।
কিন্তু সম্প্রতি এত বড় সংস্থার আইপিও বাজারে আনার নিয়ে ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। কারণ এই মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে চলছে যুদ্ধের আবহ। বিশেষ করে ইউরোপের আকাশে এখন বোমা গুলির আওয়াজ। এই পরিস্থিতিতে যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে ইউরোপের অর্থনীতি। স্বাভাবিকভাবেই ইউরোপের অর্থনীতি ভেঙে পড়লে তার প্রভাব দালাল স্ট্রিটে পড়তে বেশি সময় নেবে না।
বর্তমান এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই হয়তো এলআইসি আইপিও বাজারে আনার যে সূচি মনে করা হচ্ছিল তা পরিবর্তিত হতে পারে। কেন্দ্র সমস্ত দিক আলোচনা করে হয়তো এর দিনক্ষণ পিছোতে পারে। যুদ্ধ পরিস্থিতির অবনতি হলেই এলআইসির শেয়ার বাজারে আনা নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা শুরু করবে কেন্দ্র। এমনকি শোনা যাচ্ছে, পরিস্থিতির উন্নতি না হলে চলতি অর্থবর্ষে এই আইপিও লঞ্চ নাও হতে পারে।
যুদ্ধ আবহে শেয়ার বাজার নিয়ে ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন আগে জানিয়েছিলেন, মানুষের এই শেয়ারের প্রতি ঝোঁক থাকায় ঝুকি থাকলেও নির্ধারিত সময়ে এই শেয়ার বাজারে আনা হবে। কিন্তু সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্র পুনর্বিবেচনা করছে বলে জানা যাচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দিন পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।