নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারত তথা বিশ্বের অন্যতম ধনী শিল্পপতি গৌতম আদানীর (Gautam Adani) আদানি গ্রুপ (Adani Group) মুখ থুবড়ে পড়ে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ রিপোর্টের (Hindenburg) পর। এই রিপোর্টের পর আদানি গোষ্ঠীর সাম্রাজ্য ঝরঝর করে ঝড়ে পড়ে। বিশ্বের তৃতীয় ধনী শিল্পপতি থেকে গৌতম আদানি এখন ২৪ নম্বরের ঠাঁই পেয়েছেন। যদিও গৌতম আদানীর সংস্থা বারবার এই রিপোর্টকে মিথ্যা বলে দাবি করে আসছে।
হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ রিপোর্টের পর বহু বিনিয়োগকারীকে আদানি গোষ্ঠীর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে দেখা গেলেও রাষ্ট্রীয় সংস্থা লাইফ ইন্সুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়াকে (LIC) কিন্তু আদানি গোষ্ঠীর উপরই ভরসা রাখতে দেখা গেল। এলআইসির এই ভরসার ফলে প্রশ্ন উঠছে আমজনতার ক্ষেত্রে এর প্রভাব কতটা পড়বে!
২০২২-২৩ অর্থবর্ষে এলআইসিকে আদানি গোষ্ঠীর চারটি লিস্টেড কোম্পানিতে অংশীদারিত্ব বাড়াতে দেখা গিয়েছে। তবে এই অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের আগে না পরে বাড়ানো হয়েছে তা সম্পর্কে অবশ্য জানা যায়নি। হিন্ডেনবার্গ তাদের রিপোর্ট পেশ করেছিল ২০২৩ সালের ২৪ জানুয়ারি। এই রিপোর্ট পেশ করার পরই দেখা যায় আদানি সাম্রাজ্যের পতন। এই রিপোর্টের পরই আদানি গোষ্ঠী ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সম্পত্তি হারায়।
এলআইসির তরফ থেকে আদানির ফ্ল্যাগশিপ ইউনিটে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করা হয়ে থাকে। আমজনতার অর্থ কেন আদানির সংস্থায় বিনিয়োগ করা হবে তা নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক রাজনৈতিক তরজা। এমনকি এইরকম পরিস্থিতির সামাল দিতে এলআইসিকে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হয় এবং গ্রাহকদের আশ্বস্ত করতে দেখা যায়।
আদানির এন্টারপ্রাইজে ২০২১ সালের জুনের হিসাব অনুযায়ী এলআইসির অংশীদারিত্ব ছিল ১.৩২ শতাংশ। ২০২২ সালের জুন মাসে এই অংশীদারিত্ব বেড়ে হয়েছিল ৩.৮৫ শতাংশ। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে এই অংশীদারিত্ব আরও বেড়েছে এবং এর পরিমাণ বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৪.২৬ শতাংশ। একইভাবে আরও তিনটি সংস্থায় এলআইসির অংশীদারিত্ব বেড়েছে। তবে এইভাবে অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি পাওয়া সাধারণ মানুষদের ক্ষেত্রে কতটা প্রভাব ফেলবে? সেই প্রশ্ন থাকলেও উত্তর এখনও অধরা।