নিজস্ব প্রতিবেদন : গতবছর বাজেট অধিবেশন পেশ করার সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেছিলেন, বাজারে আনা হবে LIC-র IPO অর্থাৎ শেয়ার। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর এই ঘোষণা অনুযায়ী প্রক্রিয়া শুরু হয়। অন্যদিকে নতুন বছরের শুরুতেই করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পুনরায় স্তব্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও কেন্দ্র জানিয়েছে, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে স্তব্ধ হবে না অর্থনীতি।
অর্থনৈতিক দিক দিয়ে নতুন বছরে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। লগ্নি ক্ষেত্রে নতুন বছরের শুরুতেই আসছে একাধিক বড় বড় সংস্থার আইপিও। তবে লগ্নিকারীদের অধিকাংশের নজর এখন এক দিকেই। আর তা হলো দেশের সর্ববৃহৎ বিমা সংস্থা লাইফ ইনসিওরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া বা LICI।
জানা যাচ্ছে, প্রাথমিকভাবে এলআইসি-র প্রস্তাবিত বাজারমূল্য হতে পারে এক লক্ষ কোটি। বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন, এত বিপুলসংখ্যক আইপিও এর আগে বাজারে খুব কম আসতে দেখা গিয়েছে। যে কারণে এই আইপিও বিনিয়োগকারীদের ভাগ্য ঘুরিয়ে দিতে পারে। এর পাশাপাশি জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই এলআইসির আইপিওর খসড়া প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষের দিকে। সেই খসড়া জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে সেবির কাছে জমা দেওয়া হবে অনুমোদনের জন্য।
নিয়ম অনুযায়ী সেবির থেকে অনুমোদন পাওয়ার পরেই বাজারে উপলব্ধ হয়ে যাবে এলআইসির ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং বা শেয়ার। এই শেয়ার উপলব্ধ হওয়ার পর তা ১০ শতাংশ সংরক্ষিত রাখা হবে পলিসি হোল্ডারের জন্য। কেন্দ্রের থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। পাশাপাশি তারা বাড়তি ছাড়ও পাবেন বলেও জানানো হয়েছে। এই সুবিধা থাকার কারণে অন্যান্য বিনিয়োগকারীদের তুলনায় সস্তায় শেয়ার কিনতে পারবেন এলআইসি পলিসি হোল্ডাররা।
গতবছর এলআইসির তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পলিসি হোল্ডারের জন্য আলাদা করে আইপিও রাখা হবে। পলিসি হোল্ডারের চাইলে ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলে সেই শেয়ার কিনতে পারবেন। তবে জিনিস শেয়ার কিনতে চান তার এলআইসির পলিসির সঙ্গে আধার লিঙ্ক এবং প্যান কার্ড আপডেট থাকতে হবে। অন্যদিকে মনে করা হচ্ছে এই এলআইসির আইপিওর মূল্য মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যেই থাকবে। কারণ এক ত্রৈমাসিকের মধ্যে ৪০ হাজার কোটি থেকে এক লক্ষ কোটি টাকা তোলার লক্ষ্য নিয়ে চলছে এই জীবন বীমা।