নিজস্ব প্রতিবেদন : পেনশন গ্রাহকদের জন্য লাইফ সার্টিফিকেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই সার্টিফিকেট জমা না দিলে গ্রাহকদের পেনশন আটকে যায়। লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে এর আগে শেষ সময় সীমা হিসাবে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ৩০ নভেম্বর। তবে সম্প্রতি এই সময়সীমা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ডিপার্টমেন্ট অফ পেনশন অ্যান্ড পেনশনারস ওয়েলফেয়ার নির্ধারিত সময়সীমার পর বাড়তি আরও একমাস ওপরই দিয়েছে পেনশন গ্রাহকদের এই লাইফ সার্টিফিকেট জমা করার জন্য। বেঁচে থাকার প্রমাণ হিসাবে প্রতি বছর এই সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়। সাধারণত ৩০ নভেম্বর এই সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার শেষ সময় সীমা হলেও পেনশন গ্রাহকদের স্বার্থে এই সময়সীমা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩১ ডিসেম্বর।
লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার শেষ সময়সীমা বৃদ্ধি করার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মহামারীর কারণে বয়স্ক মানুষেরা খুব একটা বাড়ির বাইরে বেরোতে পারছেন না। সেই কথা মাথায় রেখেই এই লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে। লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার সময়সীমা বৃদ্ধি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই পেনশন গ্রাহকদের কাছে তা স্বস্তির পাশাপাশি খুশির খবর।
লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সরলীকরণ আনার পাশাপাশি কিছুদিন আগেই ফেস রিকগনাইজেশন প্রযুক্তি আনা হয়। কেন্দ্রের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে নতুন এই প্রযুক্তির ফলে লক্ষ লক্ষ গ্রাহক বিশেষ সুবিধা পেয়েছেন। এই প্রযুক্তি আসলে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার মতোই পেনশন গ্রাহকদের জীবিত থাকার প্রমাণ হিসাবে কাজ করবে।
পেনশন গ্রাহকদের কাছে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া যেমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তেমনি এটি একটি ঝঞ্ঝাট বলেও মনে করেন তারা। তবে কেন্দ্র সরকার এই পদ্ধতির ক্ষেত্রে সরলীকরণ করার জন্য নতুন ডিজিটাল পদ্ধতি এনেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় পার্সোনেল মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদি সরকার কেন্দ্রে আসার পর থেকেই পেনশন প্রাপকদের জন্য নানান ধরনের সুবিধা আনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।