Five Shiva temples of the world, which makes a sense of realistic identification of God: উপনিষদে কথা লেখা আছে যে “যখন আলো-অন্ধকার, রাত-দিন, সৎ-অসৎ বলতে কিছু ছিল না তখন ছিলেন শুধু মহাদেব”। তাই আমরা একথা অনেকের মুখে শুনে অভ্যস্ত যে শিবই শুরু আবার শিবই শেষ। তাই আমরা শিবকে আদি পুরুষ নামে চিনি। চলুন তাহলে আজ জেনে নেব দেশের সেই আশ্চর্য কিছু শিব মন্দিরের (Five Shiva temples) কথা। যা জানলে মনে হবে সত্যি অবাক হতে হবে। আমরা জানি মহাদেব (Five Shiva temple) কে অল্পতে ই সন্তুষ্ট করা যায় একটু জল ও একটি বেল পাতা দিয়ে। আমরা শিবকে বিভিন্ন নামে চিনি – নীলকন্ঠ, শঙ্কর, মহেশ্বর, ধূর্যটি ইত্যাদি। যখন যানব চঞ্চল হয়ে ওঠে তখন সাধকেরা শিবকে সাধনা করতে বলেন। যখন শিব এর মধ্যে প্রলয় এর সৃষ্টি ঘটবে তখন পুরো জগৎ ধ্বংসে বিলীন হয়ে যাবে।
আমরা শিব লিঙ্গকে ঈশ্বরের প্রতিপ রূপে সবিশেষ গণনা করি কারণ জগতের সৃষ্টির রক্ষা ও ধ্বংস একই ঈশ্বরের দ্বারা সম্পন্ন করা হয়। এগুলো শুধু কথার কথা নয়। দেশে এমন কিছু শিব মন্দির (Five Shiva temples) আছে যদি সেখানে যাওয়া যায় তাহলে মনের ও আত্মার উভয়ের শান্তি অনুভব হয়। আমরা দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের কথা নিশ্চয়ই শুনেছি। ধর্মাচারের উর্ধ্বে সেখানে প্রকট হয়ে ওঠে দেবত্বের অনুভূতি। শিব মহাপুরাণম ভারতে ৬৪ টি মূল জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দিরের উল্লেখ রয়েছে।
এছাড়াও রয়েছে এমন কিছু শিব মন্দির (Five Shiva temples) যেখানে ভগবান শিবকে পাওয়া সম্ভব। শুরুতেই বারানসীর কালভৈরব মন্দির এর কথা বলা যায়। বারাণসী শহরের অপর নাম “কাশী” এই কারণে মন্দিরটি “কাশী বিশ্বনাথ মন্দির” নামে পরিচিত। মন্দিরের ১৫.৫ মিটার উঁচু চূড়াটি সোনায় মোড়া। এখানে মহাদেব কে মদ বা সুরা দিয়ে পূজা করার প্রচলন রয়েছে। এই মন্দিরে সবসময় হোমের আগুন প্রদীপন হয়ে থাকে। দেশ-বিদেশের ভক্তের সমাগম হয় এই মন্দিরে। এই মন্দিরে ভক্তদের সমাগম দেখলে চোখ আতকে ওঠে। মন্দিরের উষ্ণ বাতাস যেকোনো অপশক্তিকে বিনাশ করতে সক্ষম হয়। কথায় আছে এই বিশ্বনাথ মন্দিরে পুজো না দিলে ভোলানাথের দর্শন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। কথাগুলি শুনে মনে হয় সত্যিই মন্দিরের পরিবেশ অন্যান্য মন্দিরের পরিবেশের তুলনায় অনেকটাই আলাদা।
তারপর চলে আসা যাক কৈলাস মন্দিরের কথায়। পশ্চিম তিব্বতে অবস্থিত কৈলাশ পর্বত সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬ হাজার ৬৫৬ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এই মন্দিরের গায়ে অসংখ্য সংস্কৃত যন্ত্র খোদাই করা রয়েছে। তারপর রয়েছে ভুবনেশ্বরে লিঙ্গরাজ মন্দির। এই মন্দিরের শিবলিঙ্গ (Five Shiva temples) ভারতের বৃহত্তম এবং অন্যতম শিবলিঙ্গ হিসেবে মনে করা হয়। শিবলিঙ্গের উচ্চতা ৫৪ মিটার। স্থানীয়দের বিশ্বাস এই যে শিবলিঙ্গটি নিজে থেকেই গর্ভ গৃহে স্থাপিত হয়েছিল। তারপরের সংখ্যায় রয়েছে স্তম্ভেশ্বর। মন্দিরের এই পূজিত শিবলিঙ্গটি প্রায় সারা বছরই জলের তলায় থাকে। বছরের কিছু বিশেষ সময় এই শিবলিঙ্গ দর্শন দেন তার ভক্তদের। এই মন্দির হল ভগবান শিবের আবাস এবং এই শহরটি সম্রাট হর্ষবর্ধনের রাজধানী ছিল।
তালিকার শেষ মন্দিরটি হল তামিলনাড়ুর মীনাক্ষী মন্দির। এই মন্দিরেও ভক্তদের সমাগম লেগেই থাকে। এছাড়াও বছরের বিশেষ বিশেষ সময় এই মন্দিরে উৎসব পালন করা হয়।যীনাক্ষী আম্মান মন্দির, যা মিনাক্ষী- সুন্দরেশ্বর মন্দির নামেও পরিচিত, এটি ভারতের প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্দিরগুলির মধ্যে একটি যা তার আশ্চর্যজনক দ্রাবিড় স্থাপত্যশৈলীর জন্য বিখ্যাত। শাস্ত্রে উল্লিখিত আছে যে মানুষের দ্বারা স্থাপিত শিবলিঙ্গই হোক কিংবা স্বয়ম্ভু শিবলিঙ্গ (Five Shiva temple) হোক, মহাদেব কে সঠিক ভক্তি ভরে পূজা করলে এবং ভক্তিভরে প্রণাম করলে মানবজগতের মুক্তি লাভ হবে। শিবলিঙ্গ কে ভক্তি ভরে প্রণাম জানালে যে ফল প্রাপ্তি হয় সেই ফল অন্য কোন তীর্থ দর্শন, পূজা কিংবা দান দক্ষিণা দিলেও সেই ফলের প্রাপ্তি হয় না। যদি সাধারণ দর্শনার্থীরা অন্তত একবার হলেও উপরোক্ত মন্দিরগুলির দর্শন করে তাহলে বিশেষ পুন্যের ভাগীদারি হবে।