নিজস্ব প্রতিবেদন : জানুয়ারি মাসের প্রথম থেকে COVID-19 বা করোনাভাইরাস তার লড়াই শুরু করে। লড়াই শুরু করে এক এক করে বিশ্বের প্রতিটি দেশকে নিজের আয়ত্ত্বে আনার। আর মার্চ মাসে এই ভাইরাসের থাবা পরে ভারতে। ভারতে এই ভাইরাসের সংক্রমণে প্রথম দিকে তিল তিল করে বাড়ছিল সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা। পরে তা বাড়তে শুরু করে হু হু করে। বর্তমানে ভারতে এই ভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ৬৪৯।
আর এই মুহূর্তে মানুষ এখন সবকিছু ভুলে এর থেকে মুক্তি খুঁজছেন। মুক্তি পাওয়ার জন্য সরকারের তরফ থেকে দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে। অনেকে এই লকডাউন স্বতঃস্ফূর্তভাবে মেনে চলছেন আবার কেউ কেউ আত্মবিশ্বাসের জোরে উপেক্ষা করছেন। তবে বিশেষজ্ঞ মহলের বক্তব্য যদি লকডাউনকে উপেক্ষা করা হয় তাহলে ভারতের পরিণতি ইতালি থেকেও ভয়াবহ হতে পারে। আর সেই চিন্তাতেই দিন কাটছে ভারতীয়দের।
তবে এরই মাঝে মিলেছে সুখবর। যে খবরে এই সকল চিন্তিত ভারতীয়দের অনেকটাই স্বস্তি দিচ্ছে। করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত যে তথ্য ২৬শে মার্চ সকাল ১০:১৫ মিনিট পর্যন্ত উঠে এসেছে তাতে ভারতে মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা হল ৬৪৯ জন। যাদের মধ্যে ৬০২ জন ভারতীয় ও বাকি ৪৭ জন বিদেশি। আর এই ভাইরাসে ভারতে মৃতের সংখ্যা ১৩। তবে ইতিমধ্যেই ভাইরাসের সংক্রমণ কাটিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৩ জন। অর্থাৎ সংক্রমিত হওয়ার পরেও সুস্থ হয়ে ওঠার পরিমাণ প্রায় ৭ শতাংশ। যা প্রথম দিকে ছিল মাত্র ২%।
শেষ প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বে এখনো পর্যন্ত এই ভাইরাসের কবলে পড়েছেন ৪ লক্ষ ৮৭ হাজার ৪৫১ জন। মৃতের সংখ্যা ২২ হাজার ২৬। আর বিশ্বজুড়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৫৭৭ জন। বিশ্বের সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাটা ২৪ শতাংশের বেশি। যদিও এই সংখ্যাটা দিন কয়েক আগেই ছিল ৩৫ শতাংশের কাছাকাছি।
এছাড়াও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বাজারে আসছে ৭০ টি ওষুধের তালিকা। ভারত সহ গোটা বিশ্বের বিশিষ্ট বিজ্ঞানীরা মিলে এই ওষুধের তালিকা তৈরি করেছেন। করোনা ভাইরাসের হোস্ট প্রোটিনকে নষ্ট করার লক্ষ্যে নেমেছেন বিজ্ঞানীরা। তবে যতদিন না সঠিক ওষুধ আবিষ্কার হচ্ছে ততদিন আমাদের সতর্ক, সচেতন ও নিজেদেরকে সামাজিকভাবে একটু গুটিয়ে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।