নিজস্ব প্রতিবেদন : রেল পরিষেবার সঙ্গে দেশের অধিকাংশ মানুষই অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত। যে কারণে কেন্দ্রে নতুন সরকার আসার পর ২০১৪ সাল থেকেই রেলের এই পরিষেবাকে আধুনিক থেকে অত্যাধুনিক করে তোলার প্রচেষ্টা চলছে। এই সকল প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এমনই এক পরিবর্তন হলো লোকাল ট্রেনের রেক। এবার পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে এমন এক ধরনের ট্রেন চলবে যে ধরনের রেক রয়েছে নেদারল্যান্ডে। এইসকল রেক তৈরি করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলিতে। এই সকল রেকে রয়েছে নানান অত্যাধুনিক সুবিধা। আসানসোল ডিভিশনে চালানো হবে এই রেক বলে জানা যাচ্ছে রেল সূত্রে।
বিদেশি ঘরানার ঝাঁ-চকচকে অত্যাধুনিক এই রেক ছুটবে আসানসোল থেকে ঝাঁঝা রুটে। নতুন ধরনের অত্যাধুনিক প্যাসেঞ্জার ট্রেনের এই রেখে কি কি রয়েছে এ নিয়ে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে কৌতূহলের শেষ নেই। মূলত যেদিন থেকে জানা যাচ্ছে এমন নেদারল্যান্ডের রেক চলবে আসানসোল ডিভিশনে তখন থেকেই এই কৌতুহল তৈরি হয়েছে।
অত্যাধুনিক এই রেকে রয়েছে গদিযুক্ত বসার আসন, রয়েছে প্রতিটি কামরায় চারটি করে সিসিটিভি ক্যামেরা, মেট্রোর আদলে রয়েছে দরজা জানালা। এছাড়াও রয়েছে আধুনিক বায়ো টয়লেট, রেসকিউ ডিভাইস মোড, ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড, সর্বত্রই সেনসরযুক্ত ও বিমানের ককপিটের আদলে চালকের কেবিন।
এমনিতে লোকাল ট্রেনে চালকের বসার জন্য কোন জায়গা থাকে না। কিন্তু এই অত্যাধুনিক রেকে বিমানের মত থাকবে চালকের বসার জায়গা। এছাড়াও চালকের কেবিন সম্পূর্ণ এসি। চালকের সামনে থাকা ডিসপ্লে বোর্ড থেকে চালক যাবতীয় তথ্য পাবেন গতি ইত্যাদি সম্পর্কে। এছাড়াও ট্রেনের গতি দ্রুত কমানোর জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। গতি দ্রুত কমাতে রয়েছে অত্যাধুনিক থ্রি-ফেজ এসি মোটর। এই রেক হবে ১২ কোচের।
এছাড়াও ট্রেনের যাত্রীদের যাতে স্টেশন বুঝতে অসুবিধে না হয় তার জন্য কামরার মধ্যে রাখা হচ্ছে ডিসপ্লে বোর্ড। যেখানে পরবর্তী স্টেশনের নাম জ্বলজ্বল করবে। ডিসপ্লে বোর্ডে পরবর্তী স্টেশনের নাম ওঠার পাশাপাশি সেই নাম ঘোষণা করার ব্যবস্থাও রয়েছে। তবে অত্যাধুনিক এই ট্রেনের ভাড়া কত হবে তা এখনো জানা যায়নি। অন্যদিকে এই রেক ইতিমধ্যেই এসে গেছে আসানসোলের লোকো শেডে। সেখানে ট্রায়াল রান শেষে যাত্রী নিয়ে ছুটবে এই নেদারল্যান্ডের রেক।