Like Pakistan, 11 countries were created after India was divided: বর্তমানে নেট দুনিয়া জুড়ে প্রায় সময়ই নানা দেশভাগের কাহিনী শোনা যায়। আবার অনেক সময় অখন্ড ভারতের স্বপক্ষেও প্রচুর পোস্ট চোখে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে। দেশভাগের কাহিনী শুনলেও অনেকেই হয়তো জানেন না ভারত ভাগ হয়ে মোট কটি দেশ হয়েছে (Countries separated from India)? সেই দেশগুলোর নামই বা কি? আজকে এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে জেনে নেব ভারত ভাগ হয়ে কয়টি দেশের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রথমেই আলোচনা করা হবে নেপাল সম্পর্কে। ভারতবর্ষের ওপর নিজেদের আধিপত্য কায়েম করলেও ব্রিটিশ শাসকরা নেপালের ওপরে নিজেদের আধিপত্য কায়েম করতে পারেননি। তাই ভারতে ব্রিটিশ শাসন শুরু হওয়ার আগে থেকেই নেপাল নিজেকে আলাদা রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেয় (Countries separated from India)। নেপাল কিন্তু আজও একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। তবে নেপালের রাজা বরাবরই নিজের দেশকে ভারতের সাথে অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছে কিন্তু ভারতীয় সরকার তাতে রাজি হয়নি। বর্তমানের থাইল্যান্ড দেশ কিন্তু ভারতের অন্তর্ভুক্ত ছিল। সেখানে আজও বহু হিন্দু ও বৌদ্ধ মন্দির দেখা যায়। সেগুলো সবই ছিল প্রাচীনকালে তৈরি।
ভারত থেকে পাকিস্তান আলাদা হওয়ার গল্প (Countries separated from India) সবাই জানে। ১৯৪৭ সালের ধর্মের ভিত্তিতে ভারত ও পাকিস্তান দুটি আলাদা রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল। হিন্দুদের দেশ হলো ভারত এবং মুসলিমদের দেশ হলো পাকিস্তান। এই দুটি আলাদা রাষ্ট্র হওয়ার পরও পাকিস্তান ভেঙ্গে বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছে। শ্রীলংকা বহু বছর আগে ভারতেরই অন্তর্ভুক্ত ছিল। এমনকি রামায়ণেও এই কথার উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু ব্রিটিশ শাসকরা ১৯৩৫ সালে ভারত থেকে শ্রীলঙ্কাকে আলাদা করে দেয়। বৌদ্ধধর্ম প্রচারের জন্য সম্রাট অশোকের পুত্র এবং কন্যা শ্রীলঙ্কায় গিয়েছিলেন। ভুটানের হলো বর্তমানে ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। কিন্তু ভুটান দেশটির নামের উৎস হলো সংস্কৃতি শব্দ ‘ভূ উত্থান’। পূর্বে এই দেশটিও ভারতের অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু ব্রিটিশরা ভারতবর্ষ দখল করার পর ভুটানকে ১৯০৬ সালে ভারত থেকে আলাদা করে দেয়।
প্রাচীনকালে আফগানিস্তান কিন্তু ভারতের মধ্যেই ছিল। এর পূর্ব নাম ছিল উপগানস্থান এবং কান্দাহারের নাম ছিল গান্ধার। মহাভারতে উল্লেখ করা হয়েছে এই শহরের নাম। বহু বছর পূর্বে এই দেশ ভারতের অংশ থাকলেও বর্তমানে এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র (Countries separated from India)। তিব্বত হলো এক অপূর্ব দেশ। এটি বহু বছর আগে ভারতবর্ষের অংশ ছিল। তিব্বত ব্রিটিশ আমলের থেকেই একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলো। কিন্তু বেশিদিন এই স্বাধীনতা স্থায়ী হয়নি, ভারত থেকে স্বাধীন হওয়ার পর তিব্বতকে চীন দখল করে নেয়। বর্তমান মায়ানমার দেশের পূর্ব নাম ছিল ব্রহ্মদেশ, যা ভারতের সাথেই ছিল। ব্রিটিশরা ভারতের নিজেদের আধিপত্য কায়েম করার জন্য এবং ভারতকে দুর্বল করার জন্য এই দেশটিকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
ভিয়েতনামের প্রাচীন নাম ছিল চম্পা। ভিয়েতনামে গেলে আজও দেখা মিলবে প্রচুর প্রাচীন হিন্দু মন্দিরের। এর থেকেই জানা যায় যে, একসময় এখানে প্রচুর হিন্দুর বসবাস ছিল কিন্তু বর্তমানে এখানে কোন হিন্দুরা বসবাস করেন না। এরপরে আলোচনা করা হবে মালয়েশিয়া সম্পর্কে। মালয় নাম থেকেই মালয়েশিয়া নানের উৎপত্তি। মালয়েশিয়ার বর্তমানে বহু দেবদেবীর পূজা করা হয়। এখানকার প্রাচীন ভাষা ছিল ব্রাহ্মিভাষা বা সংস্কৃত ভাষা। প্রাচীন লিপিতেও এই দুটি ভাষায় লেখা থাকতে দেখা গিয়েছে। কম্বোডিয়া দেশও ভারতের অংশ ছিল। তখন এখানকার মানুষ ভগবান শিবের পূজাও করতেন। সেই সময় এখানকার মানুষের প্রধান ভাষা ছিল সংস্কৃত। বহু ভারতীয় সংস্কৃতি আজও বেঁচে রয়েছে এই দেশে। এই সবকটি দেশ ভারতের সাথে সংযুক্ত ছিল যা পরবর্তীকালে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বতন্ত্র রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।