নিজস্ব প্রতিবেদন : আমাদের চোখের সামনে বহু মানুষকে এই মদের প্রতি আসক্ত দেখা যায়। এমন অনেকেই আছেন যারা দিনের বেলাতেও মদ না খেলে চলে না, আবার অনেকেই আছেন যারা সন্ধ্যে হলেই একটু সূরা না হলে রাতে ঘুম আসবে না। তবে এমনই নেশা কোন মোরগের! বিষয়টি ভাবতে অবাক লাগলেও বাস্তবে এমনই এক মোরগের সাক্ষাৎ পাওয়া গিয়েছে।
এমন বিষয় শোনা তো দূরের কথা, এমন কথা ভাবাই যেন আজব। তবে এমনই আজব ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রের এক মালিকের ক্ষেত্রে। জানা যাচ্ছে তার এই পোষ্য মোরগের নাকি মদ না পেলে কোনো খাবারই মুখে ওঠে না। স্বাভাবিকভাবেই এমন এক মোরগ কিনে বেজায় বেকায়দায় পড়েছেন ওই মালিক।
মহারাষ্ট্রে ভাণ্ডার জেলার পিপারি গ্রামের এমন আজব কান্ড এখন শোরগোল তুলেছে দেশে। জানা গিয়েছে ওই মোরগের মালিকের নাম ভাউ কাটোরে। ওই এলাকায় তার একটি মুরগির ফার্ম রয়েছে। সেই ফার্মের থাকা এমন এক মোরগ নিয়ে বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছেন তিনি।
জানা যাচ্ছে ওই মুরগির ফার্মের মালিক অর্থাৎ ভাউ কাটোরে মদ পানে অভ্যস্ত নন। অথচ তার ফার্মে এমন এসে পড়ায় তার পরিস্থিতি এখন নাজেহাল। এমন এই মোরগের পিছনে তার প্রতি মাসে নাকি ২০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে যায়। তবে প্রশ্ন উঠছে ওই মোরগের এমন মদের নেশা হলো কিভাবে?
এই বিষয়ে জানা গিয়েছে, কোন এক সময় ওই মোরগটি খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। যাকে আমরা গ্রাম্য ভাষায় ঝিমুনি রোগ বলে থাকি। এই পরিস্থিতিতে কেউ একজন তাকে পরামর্শ দেন সামান্য মহুয়া মদ খাওয়াতে। এর পরেই ওই মোরগটি ফের খাওয়া-দাওয়া শুরু করে। এরপর ওই ব্যক্তি তাকে খাবারের সঙ্গে মহুয়া ছাড়াও অল্প দেশী মদ মিশিয়ে দিতে। এই ভাবেই দেখতে দেখতে মতের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে ওই মোরগ।