Advertisements

আপনার জেলার কোথায় কোথায় চলবে লকডাউন, দেখে নিন পূর্ণাঙ্গ তালিকা

Madhab Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের পাশাপাশি রাজ্যেও উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। আর এই সংক্রমণ বাড়ছে মূলত কয়েকটি নির্দিষ্ট এলাকাকে কেন্দ্র করে। যে কারণে ওই সকল এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে নতুন করে সাত দিনের জন্য কড়া লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। আর সাতদিন পর পরিস্থিতি দেখে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ঐ সকল এলাকায় পুনরায় লকডাউন জারি হবে নাকি আনলক করা হবে।

Advertisements

উত্তরোত্তর সংক্রমণ রুখতে মঙ্গলবার নবান্নে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন করে লকডাউন জারি করার বিষয়ে নির্দেশিকা পাঠান রাজ্যের প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে। সেই নির্দেশিকায় জানানো হয়, ৯ই জুলাই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা থেকে কনটেইনমেন্ট জোন এবং বাফার জোনে পুনরায় লকডাউন জারি করা হবে। আর এই লকডাউন কতদিন চলবে তা সম্পর্কে বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় নিশ্চিত করে জানান, “লকডাউন চলবে আগামী সাত দিন। তারপর পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

Advertisements

নতুন করে লকডাউন জারি হওয়ার পর কোন এলাকা কনটেইনমেন্ট জোন এবং বাফার জোন হবে তা নিশ্চিত করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় জেলাগুলির জেলাশাসক, পুলিশ সুপার অথবা পুলিশ কমিশনারদের। কলকাতার ক্ষেত্রে কলকাতা পৌরসভা এবং কলকাতা পুলিশ সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানানো হয়। এরপর থেকেই কনটেইনমেন্ট জোন এবং বাফার জোন নিয়ে তালিকা প্রস্তুত করতে শুরু করেন আধিকারিকরা। আর বৃহস্পতিবার সেই সকল তালিকা প্রকাশিত হয়।

Advertisements

কলকাতা

বীরভূম

হাওড়া

উত্তর ২৪ পরগণা

দক্ষিণ ২৪ পরগণা

শিলিগুড়ি

হুগলী

আরও অন্যান্য জেলাগুলির তালিকা এলে আপডেট করা হবে।

আগামী সাত দিন নির্দিষ্ট করে দেওয়া এই সকল এলাকাগুলিতে সম্পূর্ণ লকডাউন জারি থাকবে। এই লকডাউন চলাকালীন নির্দিষ্ট করে দেওয়া এলাকাগুলিতে কোনরকম সরকারি অথবা বেসরকারি অফিস খোলা থাকবে না। ধর্মীয় সমাবেশ অথবা জমায়েতের ক্ষেত্রেও থাকবে নিষেধাজ্ঞা। সমস্ত রকম দোকানপাট বন্ধ থাকবে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহকারী দোকান ছাড়া। বন্ধ থাকবে সমস্ত রকম গণপরিবহণ। পাশাপাশি বাড়ি থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রেও থাকছে নিষেধাজ্ঞা। উত্তরোত্তর করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে রাজ্য সরকার তথা রাজ্যের বাসিন্দাদের কপালে ভাঁজ পড়ার পাশাপাশি এখনো পর্যন্ত যেহেতু এর কোন ওষুধ অথবা প্রতিষেধক হাতে আসেনি তাই লকডাউন চালানোকেই একমাত্র উপায় বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

Advertisements