লাল্টু : দুবরাজপুর শহরে আমফান ঘূর্ণিঝড়ে বেশ কয়েকজন প্রাপককে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে অবাঞ্ছিত ভাবে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে দিন কয়েক ধরেই সেই প্রাপকদের তালিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরতে থাকে। আর এই ঘটনা ইতিমধ্যেই সম্প্রচারিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। আর এই খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পরেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে দুবরাজপুর শহরে।
গতকাল অর্থাৎ শনিবার রাত থেকে দুবরাজপুর শহরের বিজেপি কর্মীরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পোস্টারিং করতে শুরু করেন। আমফানের দুর্নীতির পাশাপাশি তারা রেশন ব্যবস্থা নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পোস্টারিং করেন। এখানেই শেষ নয় বিজেপি কর্মীরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দুর্নীতি নিয়েও সরব হয়েছেন পোস্টারিংয়ের মাধ্যমে।
বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, “যাদের মাথার ওপর ছাদ নেই তারা ত্রিপল পাচ্ছেন না, আর যারা পাকা বাড়িতে বসবাস করছেন তারা আমফানের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২০ হাজার টাকা করে পেয়েছেন। দুবরাজপুর শহরে এমন ২৯ জনের নাম রয়েছে।”
বিজেপি জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল জানান, “যেভাবে তৃণমূল দুর্নীতি করতে শুরু করেছে তাতে এখন কেবল বিজেপি কর্মীরা সরব হয়ে পোস্টারিং করছে। আগামীদিনে এমন পরিস্থিতি আসবে যখন গ্রামগঞ্জের মানুষরা নিজেরাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে গিয়ে পোস্টারিং শুরু করবে।”
অন্যদিকে তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখার্জি জানিয়েছেন, “দুবরাজপুর শহর এলাকায় যে সময় আমফান ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হয়েছিল তখন তৃণমূলের কেউ প্রশাসক হিসাবে ছিলেন না। তখন প্রশাসক হিসেবে ছিলেন সিউড়ি সদর এসডিও রাজীব মন্ডল। সুতরাং এখানে এই গড়মিলের সাথে তৃণমূলের কোন সঙ্গ নেই। বরং আমরাই এই তালিকা দেখার পরে প্রথম সরব হয়েছিলাম। পাশাপাশি আমরা বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে বিষয়টি জানিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি করেছি। এখানে বিজেপি কর্মীরা নিষ্ক্রিয়। চার বছর সাড়ে চার বছর চুপচাপ থাকার পর ভোটের আগে তারা জেগে ওঠে। আর রেশন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সারাবছর বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথা বলেছেন। সুতরাং যারা এক মুঠো চাল গরিব দের মুখে তুলে দিতে পারেন না তাদের এত বড় বড় কথা বলা শোভা পায় না।”