নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য কালিঘাট থেকে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার পর একাধিক নেতা নেত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। মূলত তাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয় টিকিট না পেয়েই। যার পরেই একাধিক নেতা-নেত্রীকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যেতে দেখা যায়। কিন্তু বিজেপিতে গেলেও এমন একাধিক নেতা নেত্রী রয়েছেন যারা এখনও টিকিট পাননি। চলুন দেখে নেওয়া যাক তাদের তালিকা।
সোনালী গুহ : সোনালী গুহ সাতগাছিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের বেশ কয়েক বছরের বিধায়ক। তিনি শুধু বিধায়ক নন, মমতা ঘনিষ্ঠ নেত্রী বলেও পরিচিত। কিন্তু এবার প্রার্থী ঘোষণার সময় তাকে টিকিট দেয়নি তৃণমূল। যার পরেই তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপিতে যোগ দেন। কিন্তু বিজেপিতে এখনো তিনি টিকিট পাননি। বিজেপির বর্তমানে ১০টি প্রার্থী ঘোষণা করতে বাকি রয়েছে।
সরলা মুর্মু : টিকিট না পাওয়ার ক্ষোভ বিক্ষোভের তালিকায় ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব হলেন সরলা মুর্মু। তাকে তৃণমূল টিকিট দিয়েছিল, কিন্তু তার পছন্দের এলাকায় তাকে টিকিট দেওয়া হয়নি। এরপর তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তবে এখনো পর্যন্ত তার নাম বিজেপির প্রার্থী তালিকায় দেখতে পাওয়া যায়নি।
দীপেন্দু বিশ্বাস : প্রাক্তন এই ফুটবলার বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক। কিন্তু এবার তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য টিকিট দেয়নি তৃণমূল। যার পরেই তিনি জার্সি বদল করে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান। তবে এখনো পর্যন্ত তাকে টিকিট দেয় নি গেরুয়া শিবির।
গৌরী শঙ্কর দত্ত : তেহট্ট আসনে তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার ইচ্ছে ছিল নদিয়া জেলার এই তৃণমূল সভাপতির। কিন্তু তাকে প্রার্থী না করায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তবে তারও এখনো প্রার্থী ভাগ্য জোটেনি।
জটু লাহিড়ী : শিবপুর কেন্দ্রের বিধায়ক এবার টিকিট না পেয়ে তৃণমূল সরকার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তার পরেই তিনি যোগ দেন বিজেপিতে। কিন্তু তিনিও এখনো প্রার্থী হতে পারেননি।
[aaroporuntag]
বাচ্চু হাঁসদা : দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন কেন্দ্রের বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের এই প্রতিমন্ত্রী চলতি বছর টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে চলে যান। তবে দিন কয়েকের মধ্যেই তার বিজেপিতে যাওয়ার মোহভঙ্গ হয় এবং শাসক দলে ফিরে আসার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। তবে এখনো পর্যন্ত তৃণমূলের তরফ থেকে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যে কারণে তারও দলবদল হলেও প্রার্থী ভাগ্য আসেনি।