নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতিটি মানুষেরই নিজের বাড়ি, গাড়ি নিয়ে রয়েছে নানান শখ। তবে পর্যাপ্ত টাকা-পয়সার অভাবে অনেকেই এই সব শখ পূরণ করতে পারেন না। অনেকে আবার তাদের শখ পূরণ করে থাকেন মূলত ব্যাংক অথবা অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে লোন (Loan) নিয়ে। এবার ডিসেম্বর মাসের চলতি সপ্তাহে এই সকল ঋণগ্রহীতারা একটি ভালো খবর পেতে পারেন। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) সেই ভালো খবর খুব তাড়াতাড়ি শোনাতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
আগামী ৬ ডিসেম্বর থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত রয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মনিটারি পলিসি কমিটির বৈঠক। গত কয়েক মাস ধরে যতবার এই বৈঠক হয়েছে, অধিকাংশ বৈঠক শেষেই কোন না কোন সুখবর পাওয়া গিয়েছে। অন্যান্য ক্ষেত্রে রেপো রেট বৃদ্ধি করে গ্রাহকদের সঞ্চিত অর্থের উপর বেশি সুদ সহ বিভিন্ন সুখবর পাওয়া গিয়েছে। তবে এবার মনে করা হচ্ছে সুখবর পাবেন ঋণগ্রহীতারা। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া যে সিদ্ধান্ত নিতে পারে সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সরাসরি ব্যাংক থেকে নেওয়া খুচরো ঋণকে প্রভাবিত করতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া যখন রেপো রেট নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়, তখন তারা দুটি বিষয়ের উপর নজর রাখে। সেই দুটি বিষয় হল মুদ্রাস্ফীতি এবং দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার। এই দুটি বিষয়ের উপর নজর রেখেই মূলত রেপোরেট বাড়ানো অথবা কমানো হয়। গত কয়েক বছরে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি নিম্নমুখী ছিল। এর ফলে মুদ্রাস্ফীতি যাতে আর বৃদ্ধি না পায় তার জন্য পরপর পাঁচবার রেপো রেট বৃদ্ধি করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে বারবার রেপোরেট বৃদ্ধি করার ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল ঋণগ্রহীতাদের। কেননা রেপো রেট বৃদ্ধি পেলেই তাদের ঋণের উপর ইএমআই-এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছিল। তবে এবারের যে মনিটারি পলিসি কমিটির বৈঠক রয়েছে সেই বৈঠকে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার এবং মুদ্রাস্ফীতির পরিসংখ্যান দেশবাসীকে অনেকটাই স্বস্তি দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর এর ফলেই স্বস্তি পেতে পারেন ঋণগ্রহিতারা।
বর্তমানে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার এবং মুদ্রাস্ফীতির পরিসংখ্যান অনুযায়ী রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার আসন্ন মনিটারি পলিসি কমিটির বৈঠকে রেপো রেট নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। কেননা জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের কোয়ার্টারে জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৭.৬ শতাংশ। এছাড়াও মুদ্রাস্ফীতির পরিসংখ্যান অক্টোবরে কমে দাঁড়িয়েছিল ৪.৮৭ শতাংশে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে মনে করা হচ্ছে রেপো রেট কমানো হতে পারে এবং তার ফলে ঋণের বোঝা অনেকটাই কমতে পারে ঋণগ্রহীতাদের।