নিজস্ব প্রতিবেদন : দীর্ঘ ছয় মাস ধরে করোনা সংক্রমণের কারণে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ ছিল লোকাল ট্রেন (Local Train) পরিষেবা। অবশেষে ৩১ অক্টোবর রবিবার থেকে পুনরায় সেই লোকাল ট্রেনের চাকা গড়াতে শুরু করে। লোকাল ট্রেনের চাকা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে স্বস্তি ফিরে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে। তবে গণপরিবহনের সুবিধার্থে স্বস্তি পেলেও অস্বস্তি তৈরি করেছে ভাড়ায়।
দীর্ঘ ছয় মাস পর পুনরায় লোকাল ট্রেনের চাকা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে একাধিক রুটে টিকিটের মূল্য কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ। তবে একাধিক রুটে লোকাল ট্রেনের টিকিটের (Local Train Ticket) ভাড়া বৃদ্ধি করা হলেও বেশ কিছু রুটে আবার আগের মতই ভাড়া রয়েছে। এনিয়ে যাত্রীদের মধ্যে স্বাভাবিক ভাবেই তৈরি হচ্ছে নতুন করে ক্ষোভ।
সাধারণ যাত্রীদের থেকে জানা যাচ্ছে, আগে যেখানে বর্ধমান থেকে গুসকরা পর্যন্ত লোকাল ট্রেনের ভাড়া দিতে হতো ১০ টাকা, সেই জায়গায় এখন তা দিতে হচ্ছে ৩০ টাকা। অর্থাৎ এই রুটে লোকাল ট্রেনের ভাড়া বেড়েছে তিন গুণ। একইভাবে বর্ধমান থেকে বোলপুরের ভাড়া আগে যেখানে ছিল ১৫ টাকা সেখানে এখন সেই ভাড়া হয়েছে ৩৫ টাকা। হিসেব অনুযায়ী এখানেও ভাড়া বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি।
এরকম একাধিক রুটে লোকাল ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে। কোথাও দ্বিগুণ, কোথাও আবার তিন গুণ। অন্যদিকে বর্ধমান থেকে হাওড়া কর্ড এবং মেন শাখায় কোন রকম ভাড়া বৃদ্ধি হয়নি। এই সকল রুটে ভাড়া আগের মতোই রয়েছে। তবে এই ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে অভিযোগ তৈরি হলেও রেলের তরফ থেকে কোনো নির্দেশিকা জারি হয়নি।
অন্যদিকে লোকাল ট্রেনের টিকিটের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “করোনাকালে সাধারণ মানুষ যাতে ট্রেনে যাতায়াত কম করেন তার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” এর পাশাপাশি রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে প্যাসেঞ্জার ও মেমু ট্রেনে মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেনের অসংরক্ষিত টিকিটের সমমূল্য ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।