Local Trains: পূজার মুখে দারুন খবর, সারারাত চলবে লোকাল ট্রেন। দুর্গাপূজা মানেই সারারাত ঠাকুর দেখা, হৈচৈ, আনন্দ উৎসবে মেতে থাকা। কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় পরিবহন ব্যবস্থা। সেই সমস্যা মেটাতে এবার আগে থেকেই উদ্যোগ নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। অনেক বেশি রাতে বাড়ি ফেরার সময় লোকাল ট্রেন (Local Trains) পাওয়া যায় না। তাই বাড়ি ফিরতে সমস্যায় পড়েন অনেকেই। এইবার হয়তো আর সেই সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে না কাউকে। রেল পরিষেবার সময়সীমা অনেকটা বাড়িয়ে দিল পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ।
এবার পুজোয় রাত জেগে ঠাকুর দেখা একেবারেই নিশ্চিন্তের। যতই রাত হোক না কেন বাড়ি ফেরা নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। গভীর রাত পর্যন্ত লোকাল ট্রেন (Local Trains) চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিল পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। হাওড়া এবং শিয়ালদা দুটি শাখাতেই গভীর রাত পর্যন্ত বলা ভালো সারারাতই চলবে লোকাল ট্রেন। শুধুমাত্র তাই নয় টিকিট কাটার ক্ষেত্রে কাউন্টারে ভিড়ের কারণে যাতে কাউকে সমস্যায় পড়তে না হয় সেই বিষয়টাও চিন্তা করেছে কর্তৃপক্ষ। বাড়ানো হয়েছে টিকিট কাউন্টারের সংখ্যাও। সক্রিয় থাকবে স্বয়ংক্রিয় ভেন্ডিং মেশিনগুলিও।
বিকেলের পর থেকে যাত্রী সহায়তার জন্য প্রত্যেকটি স্টেশনে অতিরিক্ত কর্মী নিযুক্ত করা থাকবে। এমনকি পন্যবাহী ট্রলিগুলির উপরেও নিয়ন্ত্রণ আনতে চলেছে কর্তৃপক্ষ। অতিরিক্ত ট্রলির কারণেও ভিড়ের মাঝে সমস্যায় পড়তে পারেন যাত্রীরা। তাই ট্রলির সংখ্যা যতটা সম্ভব কমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন কর্তৃপক্ষ। টিকিট কাটা থেকে শুরু করে, কোন ট্রেন যাত্রীর জন্য উপযুক্ত সমস্ত কিছু বিষয়ে সহযোগিতা করার জন্য থাকবে রেল কর্মীরা। হাওড়া বর্ধমান লাইনের উপর দুটি শাখাতেই সারারাত তিনটি লোকাল ট্রেন চালু থাকবে। বিশেষত সপ্তমী, অষ্টমী, নবমীতে এই পরিষেবা পাওয়া যাবে।
আরো পড়ুন: পুজোর আগে বাড়ানো হবে ট্রেনের সংখ্যা, নিশ্চিন্তে ঘুরবে রাজ্যবাসী
পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, হাওড়া স্টেশনে বর্তমানে টিকিট কাউন্টার হিসেবে মোট ২৪টি কাউন্টার চালু থাকে। পুজোর সময় সেই সংখ্যাটা অনেকটা বেড়ে যাবে। আরো অতিরিক্ত ৬ টা কাউন্টার চালু করতে চলেছে কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ পুজোর কয়েকটা দিন মোট ৩০ টি কাউন্টার খোলা থাকবে টিকিট কাটার জন্য। এছাড়া রাত ১১:৪৫ থেকে ২:৪৫ পর্যন্ত চালু থাকবে বেশিরভাগ ট্রেন। স্টেশনের মধ্যেই ব্যবস্থা করা হবে হেলথ ক্যাম্পেরও। শিয়ালদা শাখার ক্ষেত্রেও নিয়মটা প্রায় একই রকম। এখানেও বনগাঁ অথবা অন্যান্য লাইনে প্রায় সারা ররাতই লোকাল ট্রেন (Local Trains) চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
তবে শুধু লোকাল ট্রেন (Local Trains) নয়, রেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে নেওয়া হয়েছে অভিনব উদ্যোগ। পুজো মানেই জমিয়ে ভুরিভোজ। তাই খাওয়া-দাওয়াতেও থাকবে বিশেষ সাবেকি ছোঁয়া। পুজোর কটা দিন প্রত্যেকটি দূরপাল্লার ট্রেন এবং হাওড়া বা শিয়ালদা স্টেশনের ফুড প্লাজা থেকে শুরু করে ছোটখাটো ফুড কাউন্টার সব জায়গাতেই থাকবে বাঙালি খাবারের ছোঁয়া। প্রত্যেকটি রেস্তোরাঁয় থাকবে পুজো স্পেশাল মেনু। নিরাপত্তার দিক থেকেও বেশ ভালো পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। জিআরপি স্টাফরা তো আছেনই তাছাড়াও হাওড়া এবং শিয়ালদা স্টেশনে মোট ৫০০ র বেশি আরপিএফ পুলিশ মোতায়েন করা থাকবে এই কয়েকটা দিন।