কোথায় মিলবে ছাড়, কি হলো বাধ্যতামূলক, নয়া নির্দেশিকা ভারত সরকারের

নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গতকালই লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করার কথা ঘোষণা করেছেন। দ্বিতীয় দফার লকডাউন শেষ হবে আগামী ৩রা মে। এরপর বুধবার ভারত সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা হলো দ্বিতীয় দফার লকডাউনের নির্দেশিকা। নয়া নির্দেশিকা অনুসারে জানানো হয়েছে ২০ই এপ্রিলের পর কৃষি, তথ্য প্রযুক্তি ও ই-কমার্সে ছাড় দেওয়া হবে। এছাড়াও এই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে গোটা দেশে যেকোনো জায়গায় বাড়ি থেকে বাইরে বেরোলেই পড়তে হবে মাস্ক।

নির্দেশিকা জানানো হয়েছে, ২০ই এপ্রিলের পর কৃষিকাজ, তথ্যপ্রযুক্তি ও ই-কমার্সের ক্ষেত্রে আংশিক ছাড় দেওয়া হবে। বর্তমান পরিস্থিতি আর্থিক সংকট ও ক্ষতি যতটা কমানো যায় তার জন্য সরকারের এমন পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি ধীরে ধীরে আন্তঃরাজ্য পরিবহন শুরু করা হবে। এছাড়াও ছাড় মিলবে দুধ, দুগ্ধজাত দ্রব্য, পোল্ট্রি, চা, কফি উৎপাদনের ক্ষেত্রে।

পাশাপাশি জানানো হয়েছে গ্রামীণ এলাকায় যে সকল জায়গায় করোনার প্রভাব পড়েনি সেই সকল জায়গায় কৃষি, উদ্যান সহ একাধিক অত্যাবশ্যকীয় ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে। গ্রামীণ এলাকার অর্থনীতি যাতে ভেঙে না পড়ে তার জন্য ঐসকল এলাকাগুলিতে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালানো হবে। পাশাপাশি ভারত সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে গোটা দেশে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হল। দেশের যেকোনো প্রান্তের মানুষ বাড়ি থেকে বের হলেই মাস্ক পড়তে হবে। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে উন্মুক্ত জায়গায় থুথু ফেলা যাবে না। থুতু ফেললে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মদ, গুটখা ইত্যাদি তামাকজাতীয় দ্রব্য বিক্রির ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র সরকার। এই সকল দ্রব্য বিক্রি করা যাবে না।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নয়া নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়েছে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হলেও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক যেভাবে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে ঠিক সেই ভাবেই মেনে চলতে হবে। প্রকাশ্যে কোন জায়গায় ৫ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না।

বর্তমান পরিস্থিতিতে বিয়ে, শ্রাদ্ধ ইত্যাদির মতো সামাজিক অনুষ্ঠানের ব্যাপারে নজর রাখবেন জেলাশাসক। তাই এরকম কোন অনুষ্ঠানের কর্মসূচি থাকলে জানাতে হবে জেলাশাসককে।

অফিস অথবা অন্যান্য কাজের জায়গার ক্ষেত্রে নির্দেশিকায় একগুচ্ছ পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।

অফিস বা অন্যান্য যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে থার্মাল স্ক্রীনিং বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি থাকতে হবে স্যানিটাইজারের বন্দোবস্ত। লাঞ্চের সময় কর্মীদের মধ্যে বজায় রাখতে হবে সামাজিক দূরত্ব। কাজের এক শিফটের সাথে অন্য শিফটের তফাৎ থাকতে হবে কম করে এক ঘন্টা। ৬৫ বছরের বেশি বয়স্ক মানুষ বিশেষ করে যাদের ফুসফুস, হৃদপিণ্ড ইত্যাদির সমস্যা রয়েছে তাদের বাড়ি থেকেই কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সরকারি হোক অথবা বেসরকারি সমস্ত ক্ষেত্রেই কর্মচারীদের ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।