দেশজুড়ে আরও ১৪ দিনের লকডাউন, আসছে নয়া নির্দেশিকা

নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করোনা মোকাবিলায় দেশের জন্য ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণার দিনেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দেশে লকডাউন গড়াবে চতুর্থ দফা পর্যন্ত। তবে তৃতীয় দফার লকডাউন রবিবার শেষ হতে চললেও দিনভর কোনরকম ইঙ্গিত মেলেনি কেন্দ্রে তরফ থেকে। এরপর বিকাল বেলায় জানা যায় লকডাউনের চতুর্থ দফা শুরু হবে আগামী সোমবার অর্থাৎ ১৮ ই মে থেকে। ১৪ দিনের জন্য চতুর্থ দফার এই লকডাউন চলবে ৩১ শে মে পর্যন্ত।

তবে কেন্দ্রের এই ঘোষণার আগেই মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়ুর মত বেশ কয়েকটি রাজ্য আগাম জানিয়ে দেয় তাদের রাজ্যের লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে। তারাও জানাই লকডাউন চলবে ৩১ মে পর্যন্ত। অন্যদিকে চতুর্থ দফার লকডাউন নিয়ে কোনোরকম নির্দেশিকা এখনো পর্যন্ত হাতে না আসায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে জানানো হয় সোমবার থেকে আগের মতই চলবে। অর্থাৎ তৃতীয় দফার লকডাউনের ক্ষেত্রে যে সকল বিধিনিষেধ জারি ছিল সেগুলি বহাল থাকবে।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, চতুর্থ দফার লকডাউন কেমন হবে তা নিয়ে শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও তার মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী আগেই আভাস দিয়েছিলেন লকডাউন বাড়লেও চতুর্থ দফার লকডাউন হবে ভিন্ন ধরনের। এও জানা গেছে, রবিবার রাত ন’টায় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একটি বিশেষ বৈঠক করবেন।

তবে কেন্দ্রের তরফ থেকে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির কথা জানানো হলেও এখনো পর্যন্ত কোন কোন ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে তা সম্পর্কে কোনো রকম নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়নি। খুব তাড়াতাড়ি এই নির্দেশিকা প্রকাশ্যে আসবে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়ু সরকার লকডাউন বৃদ্ধির পাশাপাশি জানিয়ে দেয় লকডাউন চলাকালীন রাজ্যের স্কুল, কলেজ, ধর্মস্থান, সিনেমা হল, রেস্তোরাঁ, বার-সহ সব জমায়েতের স্থান বন্ধ থাকবে।

এদিকে তৃতীয় দফার লকডাউন শেষ হওয়ার দিনই দেশে রেকর্ড সংখ্যক মানুষের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। রবিবারের রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৪৯৮৭ জন ব্যক্তির শরীরে। আর এই বিপুলসংখ্যক সংক্রমণের ফলে দেশে বর্তমানে মোট সংক্রমণের সংখ্যা কমেছে গেছে ৯০৯২৭ এ। তবে এদিন পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাও। ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৯৫৬ জন।