নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মার্চ মাসের ২৪ তারিখ থেকে ভারতে জারি হয় লকডাউন। এরপরেই লকডাউন দেখতে দেখতে পা দিয়েছে চতুর্থ দফায়। চতুর্থ দফার লকডাউন শেষ হবে আগামী ৩১ শে মে। তবে এরপরেও আরও দু’সপ্তাহ লকডাউন চলতে পারে বলে সূত্রের খবর।
সর্বভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ৩১শে মে’র পর আরও দুই সপ্তাহের জন্য যে লকডাউন থাকবে সেই লকডাউন হবে অনেকটা শিথিল আকারে। ‘লকডাউন এক্সটেনশন ইন স্পিরিট’ বলা হচ্ছে আসতে চলা এই লকডাউনের দফাকে। তবে দেশের ১১ টি শহর রয়েছে যে সকল শহরগুলিতে ভারতে মোট সংক্রামিতর ৭২% রোগী পাওয়া গিয়েছে। সেই সকল শহরগুলিকে নজরে রাখা হবে। এই ১১ টি শহর হল দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, আহমেদাবাদ, কলকাতা, পুনে, থানে, জয়পুর, সুরাট ও ইন্দোর। তবে এনিয়ে এখনো পর্যন্ত সরকারিভাবে কোন সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়নি।
তৃতীয় দফার লকডাউন শেষ হওয়ার আগেই যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চতুর্থ দফার লকডাউনের কথা ঘোষণা করেন তখন তিনি জানিয়েছিলেন নতুনরূপে হবে এই লকডাউন। সে দিক থেকে দেখতে গেলে দেখা গিয়েছে চতুর্থ দফার লকডাউন চলাকালীনই দেশে চালু হয়েছে রেল পরিষেবা, অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা, আন্তঃরাজ্য বাস চলাচল। এছাড়াও এই লকডাউনে বহু ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে ছাড়।
আর এবারও সূত্রের খবর লকডাউন পঞ্চম দফাতে পা রাখলেও উপরিউক্ত ১১ টি শহর ছাড়া বাকি জায়গায় নিষেধাজ্ঞা অনেকটাই কমবে। শর্তসাপেক্ষে সাধারণ মানুষকে বেশকিছু জায়গা যেতে দেওয়ার ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হতে পারে। পাশাপাশি ধর্মীয় স্থান দেওয়ার ক্ষেত্রেও শর্তসাপেক্ষে অনুমতি মিলতে পারে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
তবে দিনের পর দিন দেশে লকডাউন জারি থাকলেও সংক্রমণের হার এতটুকু কমেনি।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী তরফ থেকে ২৮ তারিখে যে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে তাতে দেখা গিয়েছে গত ২৪ ঘন্টায় ভারতে সংক্রমণ বেড়েছে ৬৫৫৬। দেশে বর্তমানে মোট সংক্রমণের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ১৫৮৩২৩ এ। এদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৬৭৬৯২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এছাড়াও মারা গেছেন ৪৫৩১ জন।