তৃতীয় দফার লকডাউনে কোন কোন ক্ষেত্রে মিলছে ছাড়, রইলো তালিকা

Madhab Das

Updated on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : ৩ মে’র পর লকডাউনের মেয়াদ বেড়ে হলো ১৭ই মে পর্যন্ত। লকডাউনের ফলেই করোনা সংক্রমণকে অনেকখানি নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে বলে এই লকডাউনের মেয়াদ আরও বৃদ্ধি করা হলো। এই ১৭ই মে অবধি বিশেষ অনুমতি ছাড়া বাস, ট্রেন, বিমান পরিষেবা পুরো বন্ধ থাকবে। স্কুল, কলেজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রেস্তরা, শপিং মল, সিনেমা হল সবই থাকবে বন্ধ।

Advertisements

Advertisements

Advertisements

করোনার কারণে পুরো দেশকেই ভাগ করা হয়েছে কতগুলি জোনে। রেড জোন, অরেঞ্জ জোন, গ্রিন জোন। রেড জোন – করোনা সংক্রমণ যেখানে অধিক। অরেঞ্জ জোনগুলিতে করোনার সংক্রমণ কম, আর গ্রিন জোনগুলি বিপদমুক্ত এলাকা। কেন্দ্রের কথা অনুযায়ী কোনো জেলায় ২১ দিনের মধ্যে নতুন সংক্রমণের সন্ধান না মিললে সেই জেলা গ্রিন জোন তালিকায় পড়বে।

তবে জোন ভিত্তিক প্রতিটি এলাকাতে কিছু কিছু ছাড় দেওয়া হবে। এই ছাড় হলো অর্থনৈতিক কার্যকলাপের দিক থেকে। এই ছাড়ের নির্দেশিকা শুক্রবার জারি হলেও এটি কার্যকর হবে ৪ মে থেকে। জোন ভিত্তিক কোথায় কোথায় কী কী ছাড় দেওয়া হবে?

রেড জোন, কন্টেনমেন্ট জোনের ক্ষেত্রে

১) এই জোনে সকল যান পরিষেবা অর্থাৎ বাস, ট্যাক্সি, অটো, রিক্সাসহ সকল পরিষেবা বন্ধ থাকবে।

২) আন্তঃরাজ্য পরিবহণ পরিষেবাও থাকবে বন্ধ।

৩) তবে আর্থিক দিক থেকে কিছু ছাড় থাকবে। এই জোনের গ্রামের দিকে শিল্প, নির্মাণ ও চাষের কাজ করা যাবে। তবে যেসকল কর্মীরা এসকল কাজে নিযুক্ত থাকবেন তাদের অবশ্যই স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ পালন করতে হবে। রাখতে হবে একে অপরের সাথে দূরত্ব। দূরত্ব বজায় রেখেই চলবে কাজ। এছাড়া কিছু প্রকল্পের কাজও চলবে। ফুড প্রসেসিং ও ইট ভাটাও খোলা থাকবে।

৪) মিডিয়া ও তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার কর্মচারীদের কাজের ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে।

৫) সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলি ৩৩% কর্মী নিয়ে কাজ করতে পারবে। অনান্যদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে হবে।

৬) রেড জোনে সকল মানুষের ক্ষেত্রেই আরোগ্য সেতু অ্যাপ ফোনে ইনস্টল করা বাধ্যতামূলক‌ বলা হয়েছে। 

৭) ওষুধের দোকানে ছাড় দেওয়া হয়েছে।যারা ডেলিভারির কাজে যুক্ত তাদের অত্যাবশকীয় পণ্য সরাবরাহের ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে।

অরেঞ্জ জোনের ক্ষেত্রে

অরেঞ্জ জোনে ট্যাক্সি বা ক্যাব চলাচল করতে পারবে তবে তা কেবলমাত্র একজন যাত্রীকে নিয়েই (চালক ও একজন যাত্রী)।

গ্রিন জোনের ক্ষেত্রে

গ্রিন জোনে বাস ও ডিপো চলাচল করতে পারবে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে। গ্রিন জোনে মদ ও পান বিড়ির দোকানেও খোলা রাখা যাবে। তবে সেইসব দোকানে ভিড় করা যাবে না কোনোভাবেই। এছাড়া সরকার নির্দেশিত কিছু নিয়ম ও মানতে হবে সেক্ষেত্রে।

রেড, গ্রিন ও অরেঞ্জ যে জোনই হোক‌ কোনো জোনেই রাত সাতটা থেকে সকাল সাতটা অবধি অপ্রয়োজনীয় কাজে রাস্তায় বের হ‌ওয়া যাবেনা। এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

Advertisements