নিজস্ব প্রতিবেদন : বন্যায় বিপর্যস্ত আসাম ও বিহার। আর এরই মাঝে মৌসম ভবনের পূর্বাভাস বন্যার আশঙ্কা বাড়াচ্ছে বাংলায়। চলতি বছর জুলাই মাস পর্যন্ত দেশে স্বাভাবিক রয়েছে বর্ষা। জুন মাসে ১৮ শতাংশ অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছিল। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গে ৪১ শতাংশ অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে। উত্তরবঙ্গে ৪১ শতাংশ অতিরিক্ত বৃষ্টি হলেও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে ৬ শতাংশ। বৃষ্টির ঘাটতি অনেকটাই বেশি পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হাওড়ায়।
তবে শুক্রবার মৌসম ভবনের তরফ থেকে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, বর্ষার শেষ দুমাস মিলিয়ে স্বাভাবিকের থেকে ৪ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হতে পারে। স্বাভাবিকের তুলনায় আগস্ট মাসে ৩% বৃষ্টি কম হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। অর্থাৎ হিসাব অনুযায়ী আগস্টের পর সেপ্টেম্বর মাসে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বেশি বৃষ্টিপাত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনিতেই এযাবত রাজ্যজুড়ে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে তাতে উত্তরবঙ্গ বাদ দিলেও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় নদনদী, খাল-বিল পরিপূর্ণ। আর এরপর যদি আবার সেপ্টেম্বরে অতিরিক্ত বৃষ্টি হয় তাহলে স্বাভাবিকভাবেই বন্যার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে।
অন্যদিকে আগস্ট মাসের ৪ তারিখ নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ এবং ওড়িশা লাগোয়া বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে। আর এই নিম্নচাপ তৈরি হলে মৌসুমী অক্ষরেখা উত্তরবঙ্গ থেকে সরে চলে আসবে দক্ষিণবঙ্গের উপর। যার ফলে দক্ষিণবঙ্গ, বিশেষ করে উপকূল লাগোয়া এবং ওড়িশা লাগোয়া জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। তবে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত যেটুকু জানা গিয়েছে তাতে এই নিম্নচাপ তৈরি হলে পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় ওড়িশা বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হবে।
উত্তরবঙ্গে বেশ কয়েকদিন ধরেই অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয়ে চলেছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস শনিবারও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের নদীগুলি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। বেশ কিছু জায়গায় ইতিমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে। রাজস্থান থেকে আগরা হয়ে হিমালয়ের পাদদেশ হয়ে মণিপুর পর্যন্ত মৌসুমী অক্ষরেখা সক্রিয় থাকার ফলে প্রচুর জলীয় বাস্প প্রবেশ করেছে বঙ্গোপসাগর থেকে। আর এই কারনেই এই বিপুল পরিমাণ বৃষ্টি।