নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের মানুষদের কাছে গণপরিবহনের মেরুদণ্ড হয়ে ওঠার রেল পরিষেবাকে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার সংকল্প নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় রেলের (Indian Railways) প্রতিনিয়ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে। আর এবার এসব পরিশ্রমের ফলস্বরূপ উদ্বোধন হলো দেশের দীর্ঘতম রেল টানেলের (Longest Rail Tunnel in India)।
দেশের দীর্ঘতম এই রেল টানেলের উদ্বোধন করা হলো জম্মুতে। এই রেল টানেলটি পড়ছে উধমপুর-শ্রীনগর বারামুল্লা রেল লিঙ্কের অধীনে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই রেল টানেলের উদ্বোধনের পাশাপাশি দুটি বৈদ্যুতিক ট্রেনের উদ্বোধন করেছেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৪৮.১ কিলোমিটার দীর্ঘ বানিহাল-খারি-সুম্বার-সাঙ্গলদান বিভাগেরও উদ্বোধন করেছেন। দেশের দীর্ঘতম রেল টানেল অর্থাৎ যেটি টি-৫০ নামে পরিচিত, সেটি খারি-সুম্বার অংশের মধ্যে অবস্থিত।
দেশের দীর্ঘতম যে রেল টানেলের উদ্বোধন হলো সেটি ১২.৭৭ কিলোমিটার দীর্ঘ। ২০১০ সালের সময়কালে রেলের তরফ থেকে এই টানেলটি তৈরি করার কাজ শুরু করা হয়েছিল। এই টানেল তৈরি এবং কাজ শেষ করে উদ্বোধন হতে ১৪ বছর সময় লাগলো। এটি রেলের কাছে বড় একটি চ্যালেঞ্জিং টানেল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। দেশের দীর্ঘতম টানেল হওয়ার পাশাপাশি এই টানেল এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে নিরাপত্তা নিয়ে কোন প্রশ্ন না উঠে।
আরও পড়ুন ? মাটির তলা অতীত! এবার পাহাড় ছুঁড়ে ছুটবে বুলেট ট্রেন! ইতিহাস গড়তে চলেছে রেল
জরুরি পরিস্থিতিতে টানেলের ভিতর সমস্ত রকম ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যেকোনো জরুরী পরিস্থিতিতে যাতে যাত্রীরা সহজেই টানেল থেকে পালিয়ে যেতে পারেন তার জন্য সমান্তরাল একটি পালানোর টানেল তৈরি করা হয়েছে। প্রতি ৩৫০ মিটারে একটি করে এস্কেপ টানেল এবং টি-৫০ এর মধ্যে সংযোগকারী প্যাসেজ তৈরি করা হয়েছে যাতে করে যাত্রীদের এস্কেপ টানেলে আনা যায় এবং যানবাহনে করে নিজেদের পছন্দের জায়গায় পৌঁছে দেওয়া যায়।
এর পাশাপাশি টানেলের মধ্যে যদি অগ্নিসংযোগের মতো কোনো ঘটনা ঘটে তার মোকাবিলার জন্য টানেলের সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে পাইপলাইন করা হয়েছে। ওই পাইপলাইনে ৩৭৫ মিটার অন্তর অন্তর একটি করে ভাল্ব বসানো হয়েছে যাতে করে ট্রেনে আগুন লাগলে আগুন নেভানো অনেক সহজ হয়। রেল আধিকারিকদের মতে এই টানেল উদ্বোধন হওয়ার ফলে উত্তরের কাশ্মীর থেকে দক্ষিণের কন্যাকুমারী পর্যন্ত ট্রেন চলাচলের স্বপ্নপূরণের বড় ধাপ পার হল।