Anubrata Mondal: ভারিক্কি আর নেই, এবারের অনুব্রত যেন নতুন তরতাজা যুবক

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : তিহার থেকে বেরোনোর পর আর আগের মতো অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) দেখা যাবে না। ১৮ মাসের বেশি তিহারে বন্দি থাকার পর অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রে এমনটাই দেখা যাবে তা সকলেই টের পেয়েছিলেন। তবে তিনি যখন জেল থেকে বেরোলেন তখন যা দেখা গেল তাতে এতটাও যে কেউ পরিবর্তন হতে পারে তা অধিকাংশ মানুষের কাছেই ভাবনাতীত।

Advertisements

সোমবার ঠিক রাত ৯:২১ মিনিটে অনুব্রত মণ্ডল তিহার জেলের তিন নম্বর গেট থেকে বের হন। বাইরে একেবারে গেটের কাছেই অপেক্ষায় ছিলেন মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। একটু দূরে ছিলেন অন্যান্যরা আর তার গাড়ি। সেখান থেকেই সোজা তারা বিমানবন্দরে পৌঁছান এবং কলকাতায় ভোররাতে নামেন। এরপর বীরভূমে পৌঁছান সকাল ন’টা নাগাদ।

Advertisements

অনুব্রত মণ্ডলকে যেভাবে দেখতে অভ্যস্ত সাধারণ মানুষেরা সেই অনুব্রত মন্ডলের থেকে একেবারেই আলাদাভাবে দেখা গেল। সোমবার রাতে যখন তিনি তিহার জেল থেকে বের হন, সত্যি বলতে প্রথমে বোঝা দায় তিনি কি অনুব্রত মন্ডল! কেননা সেই ভারিক্কি আর নেই, না থাকাটাই স্বাভাবিক। আর ভারিক্কি থাকবে না সেটা আগে থেকে অনেকেই টের পেয়েছিলেন। কিন্তু বাকি চমক রয়েছে অন্য জায়গায়।

Advertisements

আরও পড়ুন :Low Pressure Update: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, বইবে ঝড়, কেমন থাকবে পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া

তিনি যখন তিহারের তিন নম্বর গেট দিয়ে বের হন তখন দূর থেকে মনে হয় ঠিক যেন বছর ৪৫ এর কেউ বেরিয়ে আসছেন। সাদা চুল নেই। কলপ করা হয়েছে তা স্পষ্ট। এর পাশাপাশি পরিপাটি করে চুল আঁচড়ানো ছিল। আর পরনে ছিল হলুদ ছাই রংয়ের টিশার্ট। অনুব্রত মণ্ডলের গায়ের টিশার্ট যেন তার বয়স অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে।

তবে দূর থেকে দেখলে এসব মনে হলেও কিন্তু একটু কাছে গিয়ে ভালো করে নজর রাখলেই দেখা যাবে, চোখে মুখে রয়েছে আলাদা ছাপ। চোখে মুখের সেই ছাপ দেখেই স্পষ্ট, রাজার হালে কাটানো অনুব্রত মণ্ডল তিহারবন্দী থাকা অবস্থায় কতটা কষ্টে, অস্বস্তিতে ছিলেন। তবে তিনি এখন নিজের জেলায় ফিরে এসেছেন। এখন দেখার বিষয় আগের মতই অনুব্রত মণ্ডলকে দেখা যাবে নাকি দেখা যাবে অন্য অনুব্রত মণ্ডলকে।

Advertisements