এই দু’টি ভুলের জন্যই অনেকের বাতিল হচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভোটের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শাসনে ফেরার পর রাজ্যের মহিলাদের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের মহিলারা প্রতিমাসে হাত খরচ হিসাবে আর্থিক সাহায্য পেতে শুরু করেছেন।

Advertisements

Advertisements

যেসকল মহিলাদের আবেদন গৃহীত হয়েছে তাদের মধ্যে সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা প্রতিমাসে ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলারা প্রতিমাসে হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য পাচ্ছেন। কিন্তু আবার অনেকেই প্রথমবার আবেদন করার পর টাকা পাননি, কারণ তাদের আবেদনপত্র বাতিল হয়েছে। আবার পুনরায় আবেদন করেও কোনো সুরাহা হয় নি। লক্ষ্য করা গিয়েছে সেই সকল মহিলাদের দ্বিতীয়বার করা আবেদনপত্রও বাতিল হয়েছে। কিন্তু কেন?

Advertisements

বারবার আবেদনপত্র বাতিল হওয়ার কারণ হিসেবে উঠে এসেছে বেশ কয়েকটি কারণ। যার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটি কারণ হলো, সঠিকভাবে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের নম্বর না দেওয়া এবং কাস্ট সার্টিফিকেট সম্পর্কিত বিবরণে ভুল।

১) সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, বারংবার আবেদন করলেও অনেকেই আবেদন করার সময় আবেদনপত্রের চাওয়া স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের পূর্ণ নম্বর দিতে ভুল করছেন। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ক্ষেত্রে একেবারে শেষের দিকে আলাদাভাবে রয়েছে একটি নম্বর। যে নম্বরটি অনেকেই তাদের আবেদন পত্রে উল্লেখ করেননি। উদাহরণস্বরূপ, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের নম্বর থাকে ‘1234-5678-9101-1’ এই ধরনের। সে ক্ষেত্রে অনেকেই শেষের সংখ্যাটি বাদ দিয়ে ‘1234-5678-9101’ পর্যন্ত দিয়েছেন। যে কারণে অনেকের আবেদনপত্র বাতিল হয়েছে।

২) কাস্ট সার্টিফিকেটের ক্ষেত্রে সবথেকে বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে, যারা আবেদন করেছেন তাদের অনেকেই কাস্ট সার্টিফিকেট নম্বর দেননি আবেদনপত্রে। হয় ভুলে গিয়েছেন অথবা ভুল করেছেন। আবার অনেকেই অনলাইনে কাস্ট সার্টিফিকেট আবেদন করার সময় যে অ্যাপ্লিকেশন নম্বরটি পেয়েছিলেন সেটিকেই দিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু সেটি দিলে হবে না, কারণ ওই অ্যাপ্লিকেশন নম্বর মোটেই রেজিস্ট্রেশন নম্বর নয়।

Advertisements