নিজস্ব প্রতিবেদন : গত সপ্তাহে স্থলভাগের আছড়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল ঘূর্ণিঝড় অশনির। তবে কপাল জোরে সেই পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ। কারণ এই ঘূর্ণিঝড় সমুদ্রেই নিজের শক্তি ক্ষয় করে ফেলে। তবে নতুন করে একটি নিম্নচাপের ভ্রুকুটি তৈরি হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে।
ঘূর্ণিঝড় অশনি স্থলভাগে আছড়ে না পড়লেও চর্চা শুরু হয় এই ঘূর্ণিঝড়ের পর নতুন করে কোন ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে কিনা তা নিয়ে। এই আবহে মৌসম ভবনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে নতুন করে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে ১৯ মে নাগাদ।
নতুন করে এই নিম্নচাপ প্রসঙ্গে IMD-র তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ‘এক-দু’দিনের মধ্যেই দক্ষিণ আন্দামান সাগরে প্রক্রিয়া তৈরি হবে। তারপরই নিম্নচাপ তৈরি ও তার প্রভাব নিয়ে বলা যাবে।’ অন্যদিকে দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে আরও একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে এর নাম হবে করিম।
ঘূর্ণিঝড় করিমকে হ্যারিকেন ক্যাটাগরি ২-তে চিহ্নিত করা হয়েছে। ঘন্টায় এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ১১২ কিলোমিটার। তবে এই ঘূর্ণিঝড় প্রসঙ্গে এখনো পর্যন্ত অফিশিয়ালি কিছু জানানো হয়নি মৌসম ভবনের তরফ থেকে। অন্যদিকে যদি এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় তাহলে ভারতের বেশকিছু রাজ্যের আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটবে।
এর পাশাপাশি হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, চলতি বছর নির্ধারিত সময়ে, বরং কিছুটা হলেও আগে বর্ষার আগমন ঘটবে রাজ্যে। আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবেশের সময় ২১-২২ মে হলেও এই বছর আগেই তাঁর আগমন ঘটবে। এই বিষয়ে IMD-র মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, দেশে প্রথম বর্ষা ঢোকে কেরালায়। এই বছর দক্ষিণের এই রাজ্যে বর্ষা আসার স্বাভাবিক সময় ১ জুন।