Bauripara Kali Mandir: স্বপ্ন দেন মা কালী, নবান্ন খেয়ে তবেই যান বিসর্জনে! জানেন কোথায়

Laltu Mukherjee

Updated on:

Advertisements

Bauripara Kali Mandir: আপনারা কি জানেন কোথায় মা কালী স্বপ্ন দেন এবং নবান্ন খেয়ে বিসর্জনের উদ্দেশ্যে যায়, এমনই নানান রীতি রয়েছে দুবরাজপুর ব্লকের লোবা গ্রাম পঞ্চায়েতের কোটা গ্রামে। এই গ্রামের বাউরীপাড়ায় রয়েছে সেদোদের মা কালী। অজয় নদের তীরেই রয়েছে এই মা কালী মন্দির। এই পুজোর সূচনা করেছিলেন গোবিন্দ বাউরী নামে এক ব্যক্তি। শতাব্দী প্রাচীন ধরে নানান নিয়ম নীতি ও রীতি মেনে হয়ে আসছে এই পুজো। (ছবি ও তথ্য: লাল্টু মুখার্জী)।

Advertisements

একসময় তালপাতার কুটিরে পুজো করা হতো, তারপর হয় মাটির দেওয়াল ও টিনের চালা এবং এখন কংক্রিটের মন্দির রয়েছে এই মা কালীর (Bauripara Kali Mandir)। গ্রামের মানুষ এই মা কালীকে খ্যাপি কালিও বলে থাকেন। এখানকার মা কালীর খুব রাগ ফলে গ্রামের মানুষ এই মা কালীর পুজোর দিন প্রণাম করতে ও পুজো দিতে আসবেনই। এই মা কালীর পুজো কোন পুরোহিতে করেন না, এই মা কালী পুজো করেন বাউরী পরিবারের সদস্যরাই।

Advertisements

আরো পড়ুন: অর্থ আকর্ষণের জন্য বাড়িতে কোন গাছ লাগাবেন জেনে নিন এই প্রতিবেদনে

আগামীকাল অর্থাৎ ৫ই অগ্রহায়ণ তারিখ প্রথম নবান্ন উৎসব। এই নবান্ন খেয়েই মা বিসর্জনের পথে যায়। নবান্ন দিন মাকে নতুন আতপ চাল, আদা, আখ, নারকেল, মুলো ও পাঁচ রকম মিষ্টি দেওয়া হয় বলে জানান পরিবারের সদস্য তথা মা কালীর (Bauripara Kali Mandir) পূজারী হেলা বাউরী। তিনি জানান মা আমাদের খুব রাগী। কোনরকম অনাচার করলেই ফল পাওয়া যায় খুব সহজেই ফলে গ্রামের মানুষ এই মাকে খুব ভয় করেন, যার জন্য এই মাকে সবাই খ্যাপি কালি বলে জানেন।

Advertisements

আরো পড়ুন: কবে থেকে টাই পরা শুরু হয়, কী তার ইতিহাস! জানেন না ৯০% মানুষ

মা কালী এখানে স্বপ্ন দেন এবং নবান্ন উৎসবের পরেই বিসর্জন করা হয়। রীতি মেনে মা কালীকে বিসর্জন করা হয় কোটা গ্রামের এক প্রান্তে থাকা গঙ্গা পুকুরে। শুধু তাই নয় বিসর্জনের আগেরদিন রাত্রে অজয় নদের পাড়ে রয়েছে মা তারার শিলা মূর্তি সহ ছোট্ট একটা মন্দির। সেখানে মা তারা কে ঘি খিচুড়ি, কারন(মদ), মাছপোড়া, করকরে, কলাই ভাজা দেওয়া হয়। পাশাপাশি বলি করা হয় হাঁস বা মুরগির। তারপর দিন বিসর্জনের পথে নিয়ে যাওয়া হয় সেদোদের মা-কালিকে।

এক কথায় বলা চলে, মহা জাঁকজমকের সাথেই সেদোদের মা কালী (Bauripara Kali Mandir) বিসর্জনের পথে চলে। পুজোর মতো এই বিসর্জনে প্রচুর মানুষের ভিড় হয়। কোটা গ্রামের এক প্রান্তে থাকা গঙ্গা পুকুরে মায়ের বিসর্জন হয়।

Advertisements