কষ্ট করে খাবার পরিবেশন করার দিন শেষ, আজব মেশিনের আবিষ্কার বাঙালি যুবকের

Shyamali Das

Updated on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : খাবার শুধু খেলেই তো আর হয় না। সেই খাবার খাওয়ার জন্য আগে রান্না করতে হয়। কষ্ট করে রান্না করার পরেও শান্তি নেই। তা আবার জনে জনে পরিবেশন করতে হয়। তবে এবার জনে জনে এই পরিবেশন করার হাত থেকে রেহাই দিচ্ছে একটি যন্ত্র। সেই যন্ত্র আবার আবিষ্কার হয়েছে বাঙালি এক যুবকের হাতে।

Advertisements

মানুষের পরিবর্তে যন্ত্রের মাধ্যমে খাবার পরিবেশনের এমন যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন মুর্শিদাবাদের এক হোটেল মালিক এবং তিনি তার হোটেলে ওই যন্ত্র দিয়েই খাবার পরিবেশন করার কাজ চালাচ্ছেন। এতে তার যেমন পরিশ্রম কমে গিয়েছে সেই রকমই আবার খাবার পরিবেশনের জন্য আলাদা করে লোক রেখে খরচ করারও দরকার হচ্ছে না।

Advertisements

খাবার পরিবেশন করার এমন আজব যন্ত্রটির দেখা মিলবে মুর্শিদাবাদ জেলার সালার ব্লকের শিমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের জাউলিয়া মোড়ে থাকা একটি হোটেলে। ওই হোটেলের মালিক গণেশ চন্দ্র ঘোষ এমন যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন এবং তার হোটেলে পেটপুরে খাওয়ার পাশাপাশি যন্ত্র দিয়ে খাবার পেয়ে আলাদা অনুভূতি পান খরিদ্দাররাও।

Advertisements

তবে গণেশ বাবু এই রকম যন্ত্র আবিষ্কার করার চিন্তা ভাবনা করেন মূলত কর্মচারীর অভাবে। তার হোটেলটি দু’দুবার কর্মচারীর অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। হোটেল চালানোর পাশাপাশি গণেশ বাবু টুকটাক বিভিন্ন যন্ত্র নিয়ে কাজ করেন। কর্মচারীর অভাব এবং নিজের যন্ত্র সম্পর্কে জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে এই ধরনের একটি যন্ত্র তৈরি করার চিন্তাভাবনা করেন এবং তারপরে কাজ শুরু করে দেন। শেষমেষ তার কাজে আসে সাফল্য।

গণেশ বাবু যে যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন সেই যন্ত্রের সাহায্যে কেবল তার হোটেলে খেতে আসা খরিদ্দারদের পাতে পাতে খাবার পৌঁছে দেওয়া হয় এমন নয়। এর পাশাপাশি ওই যন্ত্রের সাহায্যে খাবার খাওয়া হলে পাতা চলে যায় ডাস্টবিনে। এর ফলে গণেশ বাবুর এখন যেমন হোটেল চালাতে অনেক সুবিধা হয়েছে সেই রকমই আবার তার খরচও অনেক কমে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

Advertisements