অমরনাথ দত্ত : বিজেপির ‘আর নয় অন্যায়’-এর গৃহ সম্পর্ক কর্মসূচিতে বুধবার বীরভূমের ইলামবাজারের আসেন মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ইলামবাজারে এসে তিনি বিজেপি কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে একটি সভায় বক্তব্য রাখেন। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ‘বহিরাগত’ প্রসঙ্গে খোঁচা দেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে।
নরোত্তম মিশ্র বলেন, “উনি আমাদের বহিরাগত বলছেন। উনি কাল দুর্গাপুরে ছিলেন, আমিও কাল দূর্গাপুরে ছিলাম। আমরা এই দেশের নাগরিক। উনার চোখে অনুপ্রবেশকারীরা বহিরাগত হিসাবে ধরা পড়েন না। আর আমরা যারা এই দেশের নাগরিক তারা বহিরাগত হয় আপনার কাছে। প্রচারে আপনি বাংলাদেশের তারকাদের নিয়ে আসেন। তখন ওনারা বহিরাগত বলে নজরে আসেন না। আর আমরা বহিরাগত হিসাবে নজরে আসি। প্রথমে আপনি নিজেকে শোধরান। আমাদের দিকে একটা আঙ্গুল উঠলে, আপনার দিকে তিনটে আঙ্গুল উঠবে।”
এর পরেই তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের কার্যকর্তারা মধ্যপ্রদেশে প্রচারে যান। মধ্যপ্রদেশের কার্য কর্তারা পশ্চিমবঙ্গে আসেন। এতে নতুন কী এসে গেল। আমরা সর্বভারতীয় দলের প্রতিনিধি। আর ওরা আঞ্চলিক দল। উনার পার্টি তো মধ্যপ্রদেশ বা অন্য কোথাও নেই। তাহলে উনার দলের লোক কোথায় থেকে আসবেন। আর ওনার সাথে এখানেও যারা রয়েছেন তারাও সঙ্গ ছাড়ছেন। পরিবহনমন্ত্রী ছেড়েছেন, বনমন্ত্রী। আরও দুদিন অপেক্ষা করুন, তাহলে আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে।”
নরোত্তম মিশ্র এরপরেই তৃণমূলকে খোঁচা দিয়ে বলেন, “স্বাভাবিকভাবে যখন বাড়িতে কোন বিয়ের অনুষ্ঠান হয়ে থাকে তখন সেই অনুষ্ঠানে আত্মীয়-স্বজনরা এসে থাকেন। আমাদের ওখানে নির্বাচন হলে উনার আসেন, উনাদের এখানে নির্বাচন তাই আমরা এসেছি। আর ওদের কোন আত্মীয়-স্বজন নেই-ই তো আসবে কোথায় থেকে!”
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির তরফ থেকে পশ্চিমবঙ্গে একাধিক রাষ্ট্রীয় নেতাদের নিয়োগ করা হয়েছে সাংগঠনিক থেকে অন্যান্য কাজকর্মের দেখভাল করার জন্য। আর এই রাষ্ট্রীয় নেতাদের নিয়োগ নিয়ে তৃণমূল প্রথম থেকেই সেই সকল নেতাদের বহিরাগত বলে কটাক্ষ করেন। তবে এই বহিরাগত মন্তব্য নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই তৃণমূল বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া সরব হন। যার পরেই এখন রাজ্য রাজনীতিতে ‘বহিরাগত’ শব্দটি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে।