মাধ্যমিকে নম্বর কাটলেই হবে না, লিখতে হবে কারণ, নয়া নির্দেশিকা পর্ষদের

নিজস্ব প্রতিবেদন : সবেমাত্র মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে।আর এবার এই মাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা দেখার নিয়ে শিক্ষকদের জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। নয়া নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, মাধ্যমিকের খাতা অর্থাৎ উত্তরপত্র মূল্যায়নের সময় কেবল নম্বর কাটলেই হবে না, লিখতে হবে নম্বর কাটার কারণ।

মাধ্যমিকের উত্তরপত্র মূল্যায়ন অর্থাৎ খাতা দেখা নিয়ে প্রত্যেক বছরই পরীক্ষার্থীদের নানান অভিযোগ থাকে। এই অভিযোগ নিয়ে তারা আরটিআই করে থাকে। আর সেসব ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক সময় শিক্ষকদের গাফিলতিও সামনে আসে। আর এসবের কারণে দেখা যায় প্রতিবছর পরীক্ষার্থীদের নম্বর বাড়ে। আর এই নম্বর বাড়ার কারণে দেখা যায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ দ্বারা ঘোষিত মেধাতালিকার হেরফের ঘটে যায়। এমনকি এই সকল ঘটনার জন্য পরীক্ষার্থীরা আদালতের দ্বারস্থও হয়। তবে এবছর এসবে বাঁধ বাঁধতে চাইছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তাই এবছর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে এই নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যাতে করে মূল্যায়নকারী শিক্ষকদের স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে হবে, কোন প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষক সন্তুষ্ট না হলে যদি পুরো নম্বর না দেন, তাহলে সেই পুরো নম্বর না দেওয়ার কারণ। অর্থাৎ মূল্যায়নকারী শিক্ষককে জানিয়ে দিতে হবে ওই প্রশ্নের উত্তরের সাথে আর কী কী লেখা দরকার ছিল।

আর এই নতুন নির্দেশিকা প্রসঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানান, “নির্ভুল উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য এই নতুন ব্যবস্থা আনা হয়েছে। উত্তরপত্র মূল্যায়ন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষার্থীদের নানান অভিযোগ থাকে। বিশেষ করে নম্বর কেন কম দেওয়া হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়। যে কারণে উত্তরপত্র মূল্যায়নে স্বচ্ছতা আনার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

মধ্যশিক্ষা পর্ষদ আশা করছে এই ব্যবস্থাপনার ফলে পরীক্ষার্থীদের অভিযোগের অনেকটা সুরাহা হবে। তবে গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য যে সময় দেওয়া হয়েছিল তার থেকে এ বছর অনেক কম সময় দেওয়া হয়েছে। কম সময়ের পাশাপাশি এই নয়া নিয়ম শিক্ষকদের বিরম্বনায় ফেলবে কিনা তা নিয়ে অনেকেই ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। যদিও পর্ষদের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে নয় এই নিয়ম অনুযায়ী নির্ভুল মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শিক্ষকদেরই সুবিধা হবে।