নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রথম থেকেই একাধিক পদক্ষেপ থেকে আশঙ্কা করা হয়েছিল চলতি বছর হয়তো আর মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে না। সেই আশঙ্কাকেই সত্যি করে সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করেন, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে চলতি বছর মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করা হলো।
পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিশেষজ্ঞ কমিটি এবং জনগণের মতামতের উপর ভিত্তি করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মূলত পরীক্ষা নেওয়া নিয়ে প্রথম থেকেই মতভেদ তৈরি হয়েছিল। আর এই মতভেদ তৈরি হওয়ার কারণেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এর পাশাপাশি আমজনতার মতামতও চাওয়া হয়েছিল।
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে তৈরি করা তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি দফায় দফায় বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানান, এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়াটা ঝুঁকিপূর্ণই। পাশাপাশি তারা চলতি বছর পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশও জানান। পাশাপাশি আমজনতার থেকে পরীক্ষা নিয়ে তারা কি চাইছেন তা জানার জন্য যে মেল করার কথা বলা হয়েছিল তাতেও অধিকাংশ মানুষ পরীক্ষা না নেওয়ার পক্ষেই কথা বলেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “এক দিনে প্রায় ৩৪ হাজার মেল জমা পড়েছে। যাদের মধ্যে ৭৯ শতাংশই পরীক্ষা না নেওয়ার পক্ষেই জানিয়েছেন।” আর এই সমস্ত দিক বিবেচনা করার পরেই তিনি চলতি বছর মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা করেন।
তবে পরীক্ষা বাতিল করার ঘোষণার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগামী সাত দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কিভাবে মূল্যায়ন দেওয়া সম্ভব। আর এই মূল্যায়ন দেওয়া নিয়ে দায়িত্ব থাকবে ওই কমিটির। বিশেষজ্ঞ কমিটির এই সদস্যরাই পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।