নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনাকালে দীর্ঘদিন ধরে স্কুল-কলেজ বন্ধ। স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় পঠন-পাঠন একপ্রকার লাটে উঠেছে। আর এমত অবস্থায় পড়ুয়া, পড়ুয়াদের অভিভাবক এবং শিক্ষকদের মাথায় বাড়তি চাপ মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। স্কুল খুললেও কিভাবে সঠিক সময়ে পরীক্ষা নেওয়া যায় তাই এখন বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়।
তবে এমত অবস্থায় গতকাল কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল প্রতিটি বোর্ডের সমস্ত পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন। ঠিক সেই মতই বুধবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকেও একই পথে হাঁটা হলো।
এদিন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, কোভিডকালে এতদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় সমস্ত পড়ুয়ারাই সমস্যার সম্মুখীন। সিলেবাস শেষ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা নিলে সমস্যার সম্মুখীন হবেন পড়ুয়ারাই। তাই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি পরীক্ষার বিষয়ে তিনি জানান, সব ঠিক থাকলে জুন মাসেই হতে পারে বোর্ডের পরীক্ষা। তেমনই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়ালও জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য সঠিক সময় নয়। পরীক্ষা কবে এবং কিভাবে হবে তা জানানো হবে।
অন্যদিকে একুশে রয়েছে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। এই বিধানসভা নির্বাচন এবং রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর যে প্রস্তাব তাতে মনে করা হচ্ছে জুন মাস অথবা তার পর ছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে না।