Madhyamik Exam 2024: মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য কড়া নির্দেশ, জানুয়ারির এই তারিখের মধ্যে একটি কাজ না করলে সব শেষ!

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : সারা বছরের সব পড়াশোনা, বছরের পর বছর ধরে সব প্রচেষ্টা এক নিমেষে মাটি হয়ে যেতে পারে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের। যে সমস্ত মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় (Madhyamik Exam 2024) বসতে চলেছেন তাদের একটি কাজ খুব তাড়াতাড়ি সেরে ফেলতে হবে। সেই কাজটি করা না হলেই সব শেষ হয়ে যাবে এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে। মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২৫ দিন আগে এমন কড়া নির্দেশ দিল পর্ষদ।

চলতি বছর ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে চলেছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে এমন নির্দেশিকা রাজ্যের প্রতিটি স্কুল এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে পাঠিয়ে দিয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। শুক্রবার এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, এরপর আর কোন কথা শোনা হবেনা।

রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়ের কথা অনুযায়ী, বেশ কিছু স্কুলের উদাসীনতা এবং গাফিলতির কারণে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি এবং পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে পর্ষদের তরফ থেকে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার সময়সীমা আরও কয়েক দিন বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু সেই বর্ধিত সময়ের মধ্যে যদি রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা না হয় তাহলে আর পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় বসতে পারবেন না।

আরও পড়ুন 👉 Rail Recruitment: ৪০ হাজারে শুরু, মাধ্যমিক পাশেই চাকরি, সাড়ে ৫ হাজার নিয়োগের ঘোষণা রেলের

এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে যে ডেড লাইন দেওয়া হয়েছিল সেই ডেড লাইন অনুযায়ী শেষ সময়সীমা ছিল ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩। কিন্তু নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে অনেকেই রেজিস্ট্রেশন করাতে পারেননি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পর্ষদের তরফ থেকে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য বর্ধিত সময়সীমা দেওয়া হয় ১০ জানুয়ারি ২০২৪। অর্থাৎ রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা বৃদ্ধির পর এখন শেষ তারিখ হল ১০ জানুয়ারি।

পর্ষদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে যদি কোন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন স্কুল কর্তৃপক্ষ করাতে সক্ষম না হয় তাহলে আর ওই পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উঠছে তা মানতে নারাজ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাদের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, বেশ কিছু পড়ুয়াদের গা ছাড়া মনোভাবের কারণেই এমনটা হয়েছে।