নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনার কারণে চলতি বছর মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল হওয়ার পর মঙ্গলবার বিকল্প পদ্ধতি বেছে নিয়ে ফলাফল প্রকাশ করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এই ফলাফল প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথেই লক্ষ্য করা যায় ১০০% পড়ুয়া পাস করেছেন। ৯০% পড়ুয়া পাস করেছেন প্রথম বিভাগে। ৭৯ জন পড়ুয়া রয়েছেন যারা পেয়েছেন সর্বোচ্চ নম্বর ৬৯৭। কিন্তু এই ঝুড়ি ঝুড়ি নম্বর চিন্তায় ফেলেছে পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের।
সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছেন মাধ্যমিক পরীক্ষায় সবাই পাস করার কারণে উচ্চ শিক্ষার পথে বিপর্যয় আসতে পারে। ঠিক তেমনি ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতও খুব একটা সুগম হবে না এই ফলাফলের কারণে। আপাতদৃষ্টিতে এই ঝুড়ি ঝুড়ি নম্বর সুসংবাদ হলেও আদৌ কি তা সুসংবাদ তাই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহলের।
পরিসংখ্যান বলছে রাজ্যে মাধ্যমিক স্কুলের সংখ্যা সাড়ে ১০ হাজার। এর সাথে আবার যদি মাদ্রাসা যোগ করা হয় তাহলে সংখ্যাটা প্রায় ১২ হাজারের কাছাকাছি। অন্যদিকে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের সংখ্যা ৭ হাজার। এরমধ্যে আবার খাতায়-কলমে উচ্চমাধ্যমিকের গড়ে ২৭৫ জন প্রতি স্কুলে প্রতিবছর ভর্তি হন। আর সেই হিসেব যদি করা হয় তাহলে চলতি বছরের মাধ্যমিকের ফলাফল অনুযায়ী সাড়ে তিন লক্ষ পড়ুয়ার ভর্তি সংকট হতে পারে। পাশাপাশি পড়ুয়াদের ভর্তির ক্ষেত্রে নিজের পছন্দের বিষয় বেছে নেওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
প্রসঙ্গত, গত দু’বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাসের হার ছিল যথাক্রমে ৮৬.০৭% এবং ৮৬.৩৪%। সেই জায়গায় এবার পাসের হার ১০০%। অর্থাৎ এক ধাক্কায় পাসের হার বেড়েছে ১৪ শতাংশ। ফলে রাজ্যে উচ্চতর শিক্ষা ব্যবস্থায় যে পরিকাঠামো রয়েছে সেই পরিকাঠামো অনুযায়ী পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে শিক্ষক মহলে।