নিজস্ব প্রতিবেদন : ‘বিবাহ’ শব্দের অর্থ হলো বিশেষ ভাবে বহন।বিয়েতে মালাবদল, শুভ দৃষ্টি, সাত পাকের মত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আসলে দুই হৃদয়ের মিলন সম্পন্ন হয় ‘যদিদং হৃদয়ং মম,তদিদং হৃদয়ং তব’ মন্ত্রের দ্বারা।
বিয়ের অনুষ্ঠানে ডেকোরেশন, মেকআপ, অতিথি আপ্যায়ন, ছবি তোলা, ভিডিওর সাথে সাথে উপহারটাও একটা অলিখিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিয়ে বাড়ির নিমন্ত্রণ এলেই সবার আগে তাই মাথায় আসে উপহারের কথা। বিয়ের বাড়িতে কী উপহার নিয়ে যাওয়া যাবে, পয়সা দিয়ে কেনা সেই উপহার কনে অথবা বরের পছন্দ হবে কিনা তা নিয়ে ভাবতে ভাবতে বিয়ে বাড়িতে আমন্ত্রিতদের কপালে ভাঁজ পরে যায়।
কিন্তু সম্প্রতি তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ের একটি বিয়ে বাড়িতে আমন্ত্রিতদের চিন্তা কমাতে এক অভিনব পদ্ধতিতে কার্ড ছাপিয়েছেন পাত্র-পাত্রী।
আমন্ত্রিতরা মনে করলে Google pay ও PhonePe-এর মাধ্যমে উপহারের টাকা পাঠিয়ে দিতে পারবেন পাত্র-পাত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। পাত্র পাত্রী বুদ্ধি করে বিয়ের কার্ডে বসিয়ে দিয়েছেন QR code। যে কেউ ইচ্ছা করলেই সেই কোড স্ক্যান করে উপহারের টাকা পাঠিয়ে দিতে পারবেন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। এতে আমন্ত্রিতদের উপহার কেনার সময়ও যেমন বাঁচলো, তেমনি পাত্র-পাত্রীরাও সেই টাকা থেকে নিজেদের ইচ্ছামত উপহার কিনতে পারবেন। ফলত দু’পক্ষই খুশি হবেন।
করোনার আবহে অনুষ্ঠান বাড়িতে অতিথি তালিকা ছোট হয়ে গেছে, আবার অনেকে স্বাস্থ্যবিধির কথা ভেবে উপহার আনার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করছেন কিন্তু যদি QR কোডের মাধ্যমে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা টান্সফার করা যায়, তাহলে দু’পক্ষই ঝামেলামুক্ত হবেন। এই অভিনব পদ্ধতি সকলের জন্যই সুবিধাদায়ক।
কনের মা জয়ন্তীদেবী এই সম্পর্কে জানিয়েছেন, “আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে কমকরে অন্ততপক্ষে ৩০ জন এই পদ্ধতিতে উপহারের টাকা পাঠিয়েছেন।” সেই সঙ্গে কনের মা আরও জানিয়েছেন, “তাদের পরিবারে এই রকম উদ্যোগ যদিও এর আগে নেওয়া হয়নি তবুও অভিনব এই পদ্ধতি সকলেরই মন ছুঁয়ে গেছে। শুধু তাই নয় অভিনব এই বিয়ের কার্ডটির বিষয়ে বিস্তারিত জানতে প্রচুর মানুষ তাদের ফোন করছেন।”