নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর করোনার কারণে পরীক্ষা না হওয়া উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথেই জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। মূলত নম্বর কম পাওয়া এবং পরীক্ষায় ফেল করার পরিপ্রেক্ষিতে এই বিক্ষোভ। এবছর উচ্চমাধ্যমিকের মত মাধ্যমিক পরীক্ষাও না হলেও সে ক্ষেত্রে ১০০% পর্যন্ত পাস করানো হয়েছে। কিন্তু উচ্চমাধ্যমিকে ১০০% পড়ুয়াকে পাশ করানোর পর পথে হাঁটেনি শিক্ষা সংসদ।
আর এর পরিপ্রেক্ষিতেই বিক্ষোভরত অভিভাবক এবং পরীক্ষার্থীদের দাবি, যেখানে পরীক্ষা নেওয়া হয়নি সেখানে কিভাবে ফেল করাতে পারে সংসদ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই বিক্ষোভের রেস কাটছেই না। বিক্ষোভের এই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাসের ভূমিকায় খুব একটা সন্তুষ্ট নয় নবান্ন বলেই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে সভানেত্রী মহুয়া দাস সোমবার পুনরায় একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করলেন, উচ্চমাধ্যমিকের অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের জন্য।
নতুন করে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, “এতদ্বারা সমস্ত বিদ্যালযের প্রধানদের জানানো হচ্ছে যে উচ্চ মাধ্যমিক ২০২১ সালের ফলাফলের ভিত্তিতে অকৃতকার্য ছাত্র-ছাত্রীদের অসন্তোষের বিষয় পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ ইতিমধ্যে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে। এইসব বিদ্যালয়গুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে যে তারা যেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক কার্যালয়ে ঊনত্রিশে জুলাই ২০২১ থেকে যোগাযোগ করেন। সমস্ত অসন্তুষ্ট ছাত্র-ছাত্রীদের অনুরোধ করা হচ্ছে যে তারা যেন সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান দের সঙ্গে ৩০ শে জুলাই ২০২১ তারিখ থেকে যোগাযোগ করে।”
আর এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার পর ওয়াকিবহাল মহল মনে করছেন অকৃতকার্য উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের নম্বর সংশোধন করা হলেও হতে পারে।