Sealdah: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্টেশন এর মধ্যে অন্যতম ব্যস্ততম স্টেশন বলে মনে করা হয় শিয়ালদহ স্টেশন কে। শহরের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এই স্টেশন (Sealdah) এর মাধ্যমে তাঁদের প্রয়োজনীয় স্থানে যাতায়াত করতে পারেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছানোর জন্য দুর গামী ট্রেনের দ্বারা মানুষ ভ্রমণ করতে পারেন। এই শিয়ালদহ স্টেশন টি গঠিত হয়১৮৬২ সালে অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ১৬২ বছর আগে। তখন যদিও বাষ্প ইঞ্জিন চলত। বৈদ্যুতি করণ করা হয়েছিল ১৯৬০ সালে অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ৬৪ বছর আগে। এই স্টেশন এর রেলপথ সংখ্যা প্রায় ২১ টি।
স্বামী বিবেকানন্দ থেকে শুরু করে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ সকলেই এই স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করেছেন। এই শিয়ালদহ স্টেশন (Sealdah) এর উত্তরে অবস্থিত ব্যারাকপুর, নৈহাটি, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট ইত্যাদি বিভিন্ন বিখ্যাত স্টেশন অবস্থিত। যেসব অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য ভাবে ইতিহাস আছে। এই সব অঞ্চল শিল্প সংস্কৃতির দিক থেকে পরিপূর্ণ।
এই শিয়ালদহ নামটা কোথা থেকে এসেছে বা এর উৎস কি! আমাদের অনেকের কাছেই হয়তো এর উত্তর অজানা, আগে এই স্টেশনটির নাম ছিল শিয়ালডিহি। শেয়াল থেকে শিয়াল আর ডিহি অর্থাৎ গ্রাম। সুতানটি-গোবিন্দপুর-কলকাতা এই সকল অঞ্চল মিলে কলকাতার পত্তনের পর সেই শিয়ালডিহির নাম পরিবর্তিত হয়েছে শিয়ালদা নামে। সরকারি ভাবে যার আসল নাম শিয়ালদহ।
আরো পড়ুন: দার্জিলিং ভ্রমণ এবার হেলিকপ্টারে? কি সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ্য?
এই শিয়ালদহ স্টেশনে যাত্রীদের সুবিধের জন্য রেস্তোরাঁ, জলখাবারের দোকান, ফলের রসের দোকান, যাত্রীদের ভ্রমণের নানান প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সমস্ত কিছুই এই স্টেশনই উপলব্ধ। এই স্টেশনে যাত্রীদের জন্য আরামদায়ক ওয়েটিং রুম এর ও ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে একাধিক শৌচালয় ব্যবস্থা। এই শিয়ালদহ স্টেশন থেকেই বাংলাদেশে যাওয়ার জন্য গরীব রথ নামক ট্রেনের সূচনা হয়।
শিয়ালদহ (Sealdah) স্টেশন ভারতের ব্যস্ততম রেল স্টেশন গুলির একটি। সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগরের মতন স্থানের সাথেও যোগাযোগ সংযোগ গড়ে তুলেছে এই বিখ্যাত রেলওয়ে স্টেশন। দেশভাগ হওয়ার সময় বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মানুষ এই শিয়ালদা রেলওয়ে স্টেশনে নেমে নিজেদের জীবনযাপন আবার নতুন করে শুরু করেছিলেন। আরো নতুন নতুন পরিবর্তন আনার জন্য এই স্টেশন বিভিন্ন জিনিস পরিবর্তনের দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।