Maldives: গোটা দেশ দেউলিয়া, মুখ বাঁচাতে ষড়যন্ত্র ত্বত্ত আউড়াচ্ছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট

Prosun Kanti Das

Updated on:

Advertisements

Maldives: দেউলিয়া হয়ে গেছে গোটা দেশ, ষড়যন্ত্রের শিকার মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। মালদ্বীপের (Maldives) বর্তমান প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মইজ্জু। এক বছর হয়নি তিনি ক্ষমতায় এসেছেন। কিন্তু এর মধ্যেই ঘটে গেছে অনেক বড় একটা ঘটনা। রিতীমতো তার গদি নিয়ে শুরু হয়েছে টানাটানি। কিন্তু তার মতে তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তাকে গদি থেকে সরানোর জন্য আর্থিক অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র করেছে কিছু লোক। সেই সমস্ত ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির আদেশও দিয়েছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোঃ মইজ্জু।

Advertisements

মালদ্বীপের (Maldives) প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর মাত্র এক বছরের মধ্যে গোটা দেশের সাথে ঘটে গেছে এক অভাবনীয় ঘটনা। সম্প্রতি কিছু তথ্য প্রকাশ করা হয় মালদ্বীপ সরকারের পক্ষ থেকে। সেই তথ্য অনুযায়ী, মালদ্বীপের কাছে এই মুহূর্তে কোন অর্থ নেই। ডলারের মাধ্যমে কোন প্রকার লেনদেন করতে পারবেনা মালদ্বীপ। এই মুহূর্তে তাদের অর্থভাণ্ডার মাইনাসে চলছে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার উদ্দেশ্যে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায় মালদ্বীপ সরকারকে। সরকারের পক্ষ থেকে সমস্ত ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ডে বিদেশী লেনদেন বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু এই নির্দেশ ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয় হইচই। তাই আবারও নির্দেশ বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে মালদ্বীপ সরকার।

Advertisements

মালদ্বিপের (Maldives) মনেটরি অথরিটি নির্দেশ দিয়েছিল সমস্ত ডেবিট কার্ড ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বিদেশী লেনদেন বন্ধ করার। কিন্তু সাধারণ মানুষ তা মানতে নারাজ। তাই বাধ্য হয়ে নির্দেশ প্রত্যাহার করতে হয়। কিন্তু বিদেশী লেনদেনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা না গেলেও, মালদ্বীপের নিজস্ব মুদ্রা রুফিয়ার পরিবর্তে ডলারের মাধ্যমে করা লেনদেনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা রয়েছে এখনো। এবং ক্রেডিট কার্ডের সীমা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে ১০০ ডলার। দেশে আর্থিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে, এই খবরটি ছড়িয়ে গোটা দেশ জুড়ে আর্থিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা করছে ষড়যন্ত্রকারীরা। এমনটাই দাবি করেছেন স্বয়ং মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট।

Advertisements

আরো পড়ুন: চীনের দালালি করলেও ভারত ভুলল না মালদ্বীপকে! এবারও এত্ত টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্র

সম্প্রতি পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই বইঠকে দেশের আর্থিক সংকট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানেই মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোঃ মইজ্জু জানিয়েছেন, বিষয়টি সম্পর্কে জানার পরেই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন তিনি। গোটা দেশের সমস্ত মন্ত্রীদের নিয়ে আলোচনায় অংশও নিয়েছিলেন। দেশের আর্থিক ক্ষতির কথাটা প্রেসিডেন্টের অমতেই প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে ব্যাংক। একদিকে ব্যাংকের এই সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করছে মালদ্বীপ সরকার। অন্যদিকে প্রেসিডেন্টের অমতে সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছে ব্যাংক।

একটি সরকারি ব্যাংক কিভাবে দেশের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে? বা দেশের প্রেসিডেন্ট অনুমতি ছাড়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্বয়ং মালদ্বীপের (Maldives) প্রেসিডেন্ট মোঃ মইজ্জু। আর এই কথার পরিপ্রেক্ষিতেই তিনি বলেছেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। কিছু ব্যক্তি ইচ্ছে করে পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটাচ্ছে। আর্থিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবি তুলতে চাইছে তারা। তিনি ইতিমধ্যে পুলিশি তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন। এবং ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্যে সতর্কবার্তা জারি করে বলেছেন, এমন চলতে থাকলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বিশেষ কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

Advertisements