নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই নিয়ে দুবার নোটিশ পাঠালো নির্বাচন কমিশন। দুটি আলাদা আলাদা নোটিশ পাঠানোর পরিপ্রেক্ষিতে দুটি আলাদা কারণ রয়েছে। প্রথম নোটিশের কারণ হিসেবে নির্বাচন কমিশন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে তারকেশ্বর থেকে করা মন্তব্যকে হাতিয়ার করেছে এবং দ্বিতীয় নোটিশের কারণ সিআরপিএফ নিয়ে মন্তব্য।
কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গত ২৮ মার্চ এবং ৭ এপ্রিল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই নোটিশের জবাব দিতে হবে ১০ এপ্রিল অর্থাৎ আগামী শনিবারের মধ্যে। জবাব না দিলে কমিশনের তরফ থেকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সিআরপিএফ বা কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক কি বলেছিলেন?
ভোটের প্রচারে তৃণমূলের কোচবিহারের জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বলেছিলেন, “সিআরপিএফ যদি ভোট দিতে বাধা দেন তাহলে একদল মহিলা মিলে তাদের ঘিরে রাখবেন। আমি সিআরপিএফদের শ্রদ্ধা করি কিন্তু দে আর ডুইং নুইসেন্স। আমি বিজেপির সিআরপিএফদের শ্রদ্ধা করি না।”
এর পরিপ্রেক্ষিতে তার দীর্ঘ বক্তব্যে তিনি তুলে ধরেছেন, “এরা মহিলাদের মারছে। মানুষকে হ্যারাস করছে। কাল এত অত্যাচার করেছে কি বলবো! সুজাতা মণ্ডলকে বাঁশ দিয়ে মেরেছে। তার সিকিউরিটিকে বাঁশ দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। গোঘাটে আমার বুথ প্রেসিডেন্টেকে পর্যন্ত খুন করেছে। খানাকুলে আমাদের প্রার্থী নাজবুলকে পিটিয়েছে। আর মেয়েরা যাতে ভোট দিতে না পারে তার জন্য সেন্ট্রাল ফোর্স এসে দাঁড়িয়েছে গ্রামে গ্রামে। বলেছে ভোট দেওয়া যাবে না।”
তবে এই নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের অবস্থান থেকে এতোটুকু সরলেন না, বরং নিজের মন্তব্যে অনড় থেকে কমিশনকেই পাল্টা কড়া বার্তা দিলেন। তিনি বলেন, “সিআরপিএফরা বিজেপির হয়ে কাজ করছে। ওরা যতক্ষণ এরকম করবে ততক্ষণ আমি ওদের বিরুদ্ধে বলবোই। আমি সিআরপিএফদের সম্মান করি, কিন্তু যারা বিজেপির হয়ে কাজ করে, এর প্রতিবাদ করবোই।”
আর এরপরই তিনি নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী অনেক কিছু বলেন। অমিত শাহ অনেক আপত্তিকর কথা বলেন। তখন নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ হয় না। কিন্তু মমতা কিছু বললেই বিধিভঙ্গ। আগেও অনেকবার শোকজ করা হয়েছে। লাভ নেই।”
[aaroporuntag]
এখানেই শেষ নয়, মমতার কমিশনকে প্রশ্ন, ‘বিজেপি আপনাদের কে হয়?’ পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, ‘তৃণমূলের প্রতি অবিচার হচ্ছে’।