নিজস্ব প্রতিবেদন : বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল পুনরায় তাদের শাসন কায়েম রাখতে একাধিক নতুন নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে। আর এই সকল প্রকল্পের মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প। তবে এই প্রকল্প জনপ্রিয়তা পেলেও অনেকেই এখনো পর্যন্ত আবেদন করেননি অথবা আবেদন করার সময় পাননি। তাদের জন্য নয় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত উপভোক্তারা চিকিৎসার জন্য বছরে ৫ লক্ষ টাকা করে সরকারি সাহায্য পান। এই প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে সুবিধা পাওয়ার পাশাপাশি ইদানিং বাইরের রাজ্যের বেশকিছু হাসপাতালেও সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। যে কারণে হাতের কাছে থাকা এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া থেকে রাজ্যের কেউই বঞ্চিত হতে চাইছেন না।
শুক্রবার বিধানসভায় রাজ্যের অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, “ধারাবাহিকভাবে প্রতিবছর স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কাজ চলবে। যারা এই প্রকল্পে যোগ দিতে চান তারা যেকোনো সময় আবেদন করে যোগ দিতে পারবেন। এছাড়াও প্রতি তিন বছর অন্তর অন্তর এই কার্ড রিনিউ করা যাবে। আগামী অর্থবর্ষে এই প্রকল্পের জন্য ১৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার।”
অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী রাজ্যের কোন নাগরিক যদি বর্তমানে এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করেননি অথবা আবেদন করার সময় পাননি তার চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। তিনি বছরের যেকোনো সময় ফর্ম ফিলাপের মাধ্যমে আবেদন করে এই প্রকল্পের সাথে যুক্ত হতে পারবেন।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা নিয়ে বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন, সম্পূর্ণটাই ভোটের দিকে তাকিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা। এই কার্ড স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নয়, এটা হলো ভোট কার্ড। যদিও বিরোধীদের এই সকল অভিযোগকে পাত্তা দিতে চায় না শাসকদল।