৩০০ কোটিতে রিটার্ন ৭২ হাজার কোটি! ফুচকা, হকারি, রোল, নতুন ইকোনমিক মডেল শেখালেন মমতা

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিনিয়োগ করে সেই বিনিয়োগ থেকে কয়েক গুণ মুনাফা লাভ করাই হলো ইকোনমিক মডেল। যে কারণে ছোটখাটো ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বড় বড় শিল্পপতিরাও তাদের বিনিয়োগের পরিমাণের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি মুনাফা তুলতে চান। কিন্তু সব ক্ষেত্রে তা সম্ভব হয় না। তবে সম্ভব অসম্ভবের বাইরে এবার নতুন ইকোনমিক মডেল শেখালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)।

Advertisements

তিনি যে মডেল দেখিয়েছেন তাতে ৩০০ কোটি টাকা খরচে টেনে এনেছেন ৭২ হাজার কোটি টাকা। এই ৩০০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছিল দুর্গাপুজোর আগে রাজ্যের দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে ৭০ হাজার টাকা করে অনুদান করে। ক্লাবগুলিকে ৭০ হাজার টাকা করে অনুদান করা নিয়ে রাজ্যজুড়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। কেননা প্রতিটি ক্লাবকে টাকা দিতে রাজ্য সরকারের খরচ হয়েছিল ৩০০ কোটি টাকা। কিন্তু এই ৩০০ কোটি টাকা খরচ করে কত মুনাফা হলো রাজ্যের সেটাই তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisements

ব্রিটিশ কাউন্সিলের সমীক্ষার পরিসংখ্যান তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এবার পুজোয় ৭২ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। তবে এই পরিসংখ্যান এখনো সম্পূর্ণ নয়। তিনি মনে করেন, এই সংখ্যাটা ৮০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। প্রায় তিন লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এই পরিসংখ্যান নিয়েই এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আনন্দে আটখানা এবং তিনি রীতিমতো দাবি করেছেন, এটাই ইকোনমিক মডেল হওয়া উচিত।

Advertisements

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “আমি টাকা দিয়েছি কারণ তারা সামাজিক কাজকর্ম করে। সুযোগ থাকলে আরও দেব। যদি ৩০০ কোটি টাকা খরচ করে আমার ৭২ হাজার কোটি টাকা আয় হয় তাহলে এটাই তো ইকোনমিক মডেল হওয়া উচিত। সব টাকা হয়তো আমার কাছে আসবে না, কিন্তু কিছুটা তো আসবে। মানুষ তো টাকা পেয়েছে। কত লোক হকারি করেছে, ফুচকা বিক্রি করেছে, রোল বিক্রি হয়েছে। কত মানুষ পুজোর সময় বাড়িতে রান্নায় করে নাই।”

দুর্গাপুজোর আগে রাজ্যের দুর্গাপূজো কমিটি এবং ক্লাবগুলিকে ৭০ হাজার টাকা করে দেওয়া নিয়ে রাজ্যের সাধারণ বাসিন্দাদের একাংশ থেকে শুরু করে বিরোধীরা বারবার রাজ্য সরকারকে খোঁচা দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে অসুস্থ থাকার পর বুধবার নবান্নে পা রেখেই এই সমস্ত খোঁচার পাল্টা দিয়েছেন মূলত পুজোর সময় রাজ্যে ব্যবসার পরিসংখ্যান তুলে ধরে।

Advertisements