নিজস্ব প্রতিবেদন : আগামী ১৬ আগস্ট থেকে রাজ্যজুড়ে পুনরায় চালু হতে চলেছে দুয়ারের সরকার কর্মসূচি। আগের দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে যেমন পাখির চোখ ছিল স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প ঠিক তেমনি এবারের কর্মসূচিতে পাখির চোখ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। ভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মহিলাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, হাত খরচের জন্য মাসে মাসে জেনারেল ক্যাটাগরির মহিলাদের ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি মহিলাদের জন্য ১০০০ টাকা করে দেবেন।
এই প্রতিশ্রুতিকে বাস্তবায়িত করার জন্যই মুখ্যমন্ত্রী যে প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন তা হলো লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। তবে এই প্রকল্পের ঘোষণার পরই বিভিন্ন জায়গায় নানান ধরনের অভিযোগ উঠতে শুরু করছে। কোন কোন এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাড়ির ট্যাক্স না দেওয়া হলে এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প ফর্ম ফিলাপ করা যাবে না অর্থাৎ টাকা পাওয়া যাবে না। এছাড়াও কাটমানি নেওয়ার মতো অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।
তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ নিয়ে আগাম সতর্ক। কোনভাবেই এই প্রকল্প নিয়ে কোনরকম কাটমানি অথবা অন্য কোনো দুর্নীতি চলবে না। পাশাপাশি বাড়ির কর দিতে হবে এমনও কোনরকম বাধ্যবাধকতা নেই। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে এ নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী প্রতিটি জেলাশাসক এবং অন্যান্য আধিকারিকদের আগাম সতর্ক করেছেন। পাশাপাশি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিটি দুয়ারে সরকার কর্মসূচির ক্যাম্পে হেল্প ডেস্ক রাখতে হবে। যেখানে যারা লিখতে অথবা পড়তে জানেন না তাদের সাহায্য করা হবে।
এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, “পুরোপুরি বিনামূল্যে এই প্রকল্পে আবেদন জানানোর ফর্ম পাওয়া যাবে। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য কাউন্টার থাকবে, সবার প্রথম সেখানে যেতে হবে। সেখানে গেলেই একটি ফর্ম পাওয়া যাবে। সেই ফর্মে একটি নির্দিষ্ট নম্বর থাকবে। সেই নম্বরের রেকর্ড সরকারের কাছেও থাকবে। এই ফর্ম কোনও ভাবে জেরক্স বা ডুপ্লিকেট করা যাবে না। এই ফর্ম ছাড়া অন্য কোনও ফর্ম নেওয়াও হবে না। কেউ যাতে এই ফর্মের অপব্যবহার করতে না পারে তার জন্যই এই ব্যবস্থা।”
পাশাপাশি কোথাও কোনো বিনিয়োগ দেখলে যাতে নাগরিকরা সহজে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন তার জন্য দুটি টোল-ফ্রি নম্বর চালু করা হয়েছে। যে দুটি টোল ফ্রি নম্বর হলো ১০৭০ এবং ২২১৪৩৫২৬।