করোনা আবহেই ২.৫ লক্ষ মানুষের আয় বাড়াতে অভিনব উদ্যোগ রাজ্য সরকারের

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বজুড়ে সঙ্কট সৃষ্টি করেছে খুদে ভাইরাস করোনা। বিশ্বের পাশাপাশি এই সংকটের শিকার ভারতবর্ষ, পশ্চিমবঙ্গ। তবে সংকট চলাকালীনও প্রতিটি সরকারের প্রচেষ্টা সঙ্কটমুক্ত হওয়ার, সংকটকে এড়িয়ে চলার। এমত সংকটের আবহেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২.৫ লক্ষ মানুষের আয় বাড়াতে ‘মাটির সৃষ্টি’ নামে নতুন এক প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন বুধবার নবান্ন থেকে।

রাজ্যের কৃষকদের উন্নয়নের স্বার্থে এই প্রকল্প বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘অনুর্বর জমিকে কাজে লাগিয়ে উর্বর দুর্বার সৃষ্টি, নামটি তার মাটির সৃষ্টি।’ মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পকে ‘দুরন্ত বৈপ্লবিক কর্মসূচি’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন। পাশাপাশি বলেছেন, এই প্রকল্প উন্মোচিত করবে নতুন দিগন্তকে। ‘মাটির প্রকল্প’ আসলে কি?

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করার নতুন প্রকল্প মাটির সৃষ্টি প্রকল্প হল, কৃষিকাজে অনুপোযোগী পতিত জমিকে কাজে লাগিয়ে উদ্যানপালন, মৎস্য চাষ, পশুপালনের মত বিভিন্ন উৎপাদনমুখী কাজে ব্যবহার করা। অনুর্বর জমির বিচারে মূলত রাজ্যের ৬ টি জেলার এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে। যে ৬ টি জেলা হল, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান ও পশ্চিম মেদিনীপুর। রাজ্য সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, প্রায় ৫০ হাজার একর উৎপাদন জমি এই প্রকল্পের আওতায় উৎপাদন উপযুক্ত হবে আর উপকৃত হবেন ২.৫ লক্ষ মানুষ।

প্রকল্পের বৈশিষ্ট্য

বিভিন্ন জায়গায় কৃষকদের ১০ থেকে ২০ একর টুকরো টুকরো জমি ঘিরে এই প্রকল্প শুরু হবে। এছাড়াও সরকারি পতিত জমিকেও এই প্রকল্পের আওতায় ফেলা হবে। প্রতি বছরের জন্য আলাদা আলাদা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।

এই প্রকল্প রূপায়ণ হবে কেবলমাত্র কৃষি সমবায় সমিতি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের দ্বারা। আর উৎপাদিত সামগ্রী কেনাবেচার কাজও করবে সমবায় সমিতিগুলি।