নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে যে সকল পর্যটন কেন্দ্র এবং ধর্মীয় স্থান রয়েছে তার মধ্যে কলকাতার কালীঘাট (Kalighat) অন্যতম। যেখানে বছরের বিভিন্ন সময় দূর দূরান্ত থেকে পর্যটকরা মায়ের দর্শন করতে আসেন, মায়ের পুজো দিতে আসেন। সম্প্রতি কালীঘাটকে আরও জনপ্রিয় করে তোলার জন্য একের পর এক কাজ করা হচ্ছে। কাজ চলছে মন্দির সংস্কারের। আর এই সংস্কারের কাজ চলাকালীন কালীঘাট মন্দিরের তিনটি চূড়া ইতিমধ্যেই সোনায় মুড়ে ফেলা হয়েছে।
প্রায় ২০০ বছরের প্রাচীন কালীঘাট মন্দিরের সংস্কারের পাশাপাশি তিনটি চূড়া সোনায় মুড়ে ফেলার জন্য প্রায় ৫০ কেজি সোনা লেগেছে বলেই জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে মন্দির সংস্কারের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। তবে এসব ছাড়াও এবার কালীঘাটে আসা পর্যটক ও পুণ্যার্থীদের জন্য আরও একটি নতুন জিনিস অপেক্ষা করছে। নতুন সেই আকর্ষণ খুলে যাওয়া এখন কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা।
কালীঘাটে নতুন যে জিনিসের কথা বলা হচ্ছে তা হল স্কাইওয়াক (Kalighat Skywalk)। দীর্ঘদিন ধরে কালীঘাটের এই স্কাইওয়াকের কাজ চলছে। স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষদের মধ্যে প্রশ্ন কবে এই স্কাইওয়াকের কাজ শেষ হবে? কবে থেকে সাধারণ মানুষদের জন্য কালীঘাটের স্কাইওয়াক খুলে দেওয়া হবে? আর এই বিষয়েই নববর্ষের প্রাক্কালে শনিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় মুখ খুলেছেন। তিনি শনিবার নববর্ষের প্রাক্কালে কালীঘাটে মায়ের পুজো দিতে গিয়েছিলেন এবং সেখানে পুজো দিয়ে বেরিয়ে আসার পর এই বিষয়ে কথা বলেন।
আরও পড়ুন Kolkata to London Flight: কলকাতা থেকে সোজা লন্ডন! ১৫ বছর পর ফের চালু নয়া বিমান পরিষেবার জল্পনা
কালীঘাটের স্কাইওয়াক নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘আগামী আগস্ট মাসের মধ্যেই কালীঘাট স্কাইওয়াকের কাজ শেষ হয়ে যাবে’। কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর অবশ্য কবে তা সাধারণ মানুষদের জন্য খুলে দেওয়া হবে তা সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। এর পাশাপাশি কুন্ডু পুকুর থেকে মন্দিরের ভিতরের যে সংস্কারের কাজকর্ম চলছে সেগুলিও আগস্ট মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
মন্দিরের চূড়া মুকেশ আম্বানি করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মন্দিরের অন্যান্য সংস্কারের কাজ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে করা হচ্ছে বলেই দাবি করেছেন তিনি। এই সংস্কারের কাজের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ২০০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। কালীঘাট মন্দির আগামী দিনে সংস্কারের পর যেভাবে শোভা পাবে তা রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলির থেকে কালীঘাটকে অনেক এগিয়ে রাখবে।