নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে প্রতিনিয়ত ঝড়ের গতিতে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আর এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে জানিয়েছিলেন, করোনা মোকাবেলা করাই হলো প্রথম লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য ইতিমধ্যেই করোনা বিধি জারি করেছেন রাজ্যে। কিন্তু তাতেও যখন সংক্রমণের হার কমতে দেখা যাচ্ছে না তখন জল্পনা শুরু হয়েছে তাহলে কি সম্পূর্ণ লকডাউন জারি হবে রাজ্যে? এনিয়েই সোমবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী।
করোনার মোকাবিলা করার জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্যে আংশিক লকডাউন জারি করা হয়েছে। আর সেই আংশিক লকডাউন অনুযায়ী রাজ্যে বন্ধ শপিংমল, রেস্টুরেন্ট, বার, সিনেমা হল, লোকাল ট্রেন ইত্যাদি। নিত্য প্রয়োজনীয় এবং জরুরী পরিষেবা ছাড়া বাকি অন্যান্য দোকানপাট দিনে ৫ ঘন্টা খোলা। এর পাশাপাশি ভিন রাজ্য থেকে আসাদের জন্য কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করা হয়েছে। তবে এরপরে সম্পূর্ণ লকডাউন নিয়ে যে জল্পনা চলছে সেই জল্পনাকে তিনি এক প্রকার উড়িয়ে দিলেন।
সম্পূর্ণ লকডাউনের প্রসঙ্গ উঠলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, “বহু গরিব মানুষের সমস্যা হবে। সম্পূর্ণ লকডাউনের পক্ষপাতী নই। ওদের তো দিন চালাতে হবে।” আর সম্পূর্ণ লকডাউন না করেই কিভাবে করোনা মোকাবিলা করা যায় তার পরামর্শ দিতে গিয়ে তিনি জানান, “ভালোভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। মনে রাখতে হবে মাস্ক পরতে হবে। বারবার হাত ধুতে হবে আর স্যানিটাইজ করতে হবে। লোকাল ট্রেন বন্ধ হওয়ার কারণে ঝুঁকি অনেকটা কমেছে। লকডাউনের মত করেই চলুন সবাই।”
[aaroporuntag]
এর পাশাপাশি তিনি এদিন পুনরায় একবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হলেন। তিনি বলেন, “ভ্যাকসিন কিনে সবাইকে বিনামূল্যে দিয়ে দেব ভাবছি তবুও ভ্যাকসিন দিচ্ছে না। এই মুহূর্তে এত টিকা বিদেশে পাঠিয়ে দিলে সংকট তৈরি হবেই। তবুও বলছি হাতে ভ্যাকসিন এলেই সবাইকে দেওয়ার কাজ শুরু করে দেব।”