ভিনরাজ্যের নার্সরা ফিরে গেছেন, জটিলতা মেটাতে নতুন নিয়োগের বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা ভাইরাসের জন্য বিশ্ব তথা দেশ উত্তাল। একদিকে পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি ফিরতে পারছেন না। অপরদিকে করোনার সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। আর এবার ভিন রাজ্যের নার্সরা নিজেদের রাজ্যে ফিরে যাওয়ার ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। স্বাস্থ্য পরিষেবা যাতে বেহাল না হয়ে পড়ে তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী অবসরপ্রাপ্তদের কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, এছাড়া সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে পুরুষ ও মহিলা হেল্পার নিয়োগের কথা বলেন।

শহর কলকাতাতে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ১৮টি বেসরকারি হাসপাতাল আছে‌। এই সকল হাসপাতালগুলির কর্মরত নার্সদের প্রায় সিংহভাগই অন্য রাজ্য থেকে আসেন। উত্তরপূর্বের মণিপুর, সিকিম, ত্রিপুরা থেকে শুরু করে কেরল, তমিলনাড়ু, ওড়িশা,
ঝাড়খণ্ড থেকে এই সকল নার্সরা আমাদের রাজ্যে কাজ করতে আসতেন। এই নার্সরা নিজেদের রাজ্যে ফিরে গেলে আমাদের রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার যে একটা ব্যাঘাত ঘটবে তা নিয়ে সেই সকল বেসরকারি হাসপাতালের কর্ণধাররা আগেই একটা উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। এই সমস্যার সমাধান খুঁজতে তৎপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আজ স্বাস্থ্যক্ষেত্রে হেল্পার নিয়োগের কথা বললেন।

মণিপুরের ১৮৫ জন নার্স যারা এতদিন আমাদের রাজ্যে কর্মরত অবস্থায় ছিলেন তারা ফিরে গেছেন। এরপর মণিপুর, ত্রিপুরা, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড মিলিয়ে আরও ১৬৯ জন নার্স ঘরে ফিরে গেছেন। এই বিপুলসংখ্যক নার্স কলকাতা শহরের নানা বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় ছিলেন। এখন এই সকল বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে কীভাবে নার্স যোগান দেওয়া হবে এই মুহূর্তে? করোনার এই জটিল আবহে এটি আরও একটি সংকট।

এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বললেন, “অনেক নার্সকে নিয়ে চলে গিয়েছে কয়েকটি রাজ্য। রাজ্য থেকে ৩০০ থেকে ৩৫০ নার্স ফিরে গিয়েছেন। চিকিৎসক-নার্স তৈরি করতে সময় লাগে। প্রাথমিক কাজ করতে পারেন, এমন লোকজনকে নিতে হবে। পুরুষ ও মহিলা হেল্পার নিয়োগ করতে হবে। নিয়োগের আগে তাঁদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে।”

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আরও বলেন, অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক বা নার্সরাও এই সকল ক্ষেত্রে আবেদন করতে পারেন। তাদেরকেও নিয়োগ করা হবে।