লকডাউনে ছাড় পাচ্ছেন বিড়ি শ্রমিক থেকে ফুল চাষী, খুলছে কিষাণ মান্ডি

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বের পাশাপাশি ভারতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মার্চ মাসের ২৩ তারিখ বিকাল পাঁচটা থেকে রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করেন। তবে এই লকডাউনের মাঝে বিপুল পরিমাণে দুধ নষ্ট হচ্ছিল বলে তিনি মিষ্টির দোকানগুলিকে আংশিক ছাড় দেন। জানান দুপুর ১২ টা থেকে ৪ টে পর্যন্ত মিষ্টির দোকান খোলা থাকবে। আর এর পরেই আবার মঙ্গলবার ছাড় পেলেন বেশ কিছু ব্যবসায়ী ও শ্রমিক।

মঙ্গলবার নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, বুধবার থেকে ছাড় পাচ্ছে রাজ্যের ফুল বাজার, কিষাণ মান্ডি ও পান চাষীরা। ফুলচাষীরা বাজারে ফুল নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে গাড়িতেও ছাড় পাবে। স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে পারবেন ফুল। আর এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ফুল চাষিদের পাশাপাশি কিষাণ মান্ডি খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এছাড়াও বাড়িতে বসে বিড়ি বাঁধার ক্ষেত্রে ছাড় পাচ্ছেন বিড়ি শ্রমিকরা।

বিড়ি বাঁধার ক্ষেত্রে শ্রমিকদের ছাড় দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিড়ি শ্রমিকরা বাড়িতে বসে বিড়ি বাঁধার কাজ করতে পারবেন। পাশাপাশি তিনি জানান, তবে একসাথে এক জায়গায় ৭ জনের বেশি লোক যেন না থাকে। তাহলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। বিড়ি শ্রমিকদের থেকে বিড়ি সংগ্রহ করে এজেন্টরা বাজারে সরবরাহ করতে পারবেন।

তাঁর কথায়, “অন্যান্য সময়ে গ্রামের উঠোনে বসে ৫০ জন বিড়ি বাঁধেন। কিন্তু এখন তেমনটা করা যাবে না। এক জায়গায় সাতজন বসুন, দূরে দূরে বসুন। আর এমন নির্দেশিকা পালন না করা হলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।”