নিজস্ব প্রতিবেদন : কসবার জাল টিকা কাণ্ডে দেবাঞ্জন দেব গ্রেপ্তার হওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে এই ঘটনা রাজ্য সরকারকে যথারীতি ব্যাকফুটে ফেলেছে। বিশেষ করে দেবাঞ্জন দেবের সাথে একাধিক মন্ত্রী এবং অন্যান্য তৃণমূল নেতাদের ছবি আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে শাসক দলকে। আর এই সব কাণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মুখ খুলেই তিনি এই ঘটনাকে বিজেপির ষড়যন্ত্র হতে পারে বলেও দাবি করলেন।
বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভ্যাকসিনের সঙ্কট নিয়ে ফের একবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। যেখানে তিনি বলেন, “বাংলা থেকে ছোট ছোট অনেক রাজ্য অনেক বেশি টিকা পাচ্ছে। তবুও গণ টিকাকরণের দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে এই রাজ্য। আমরা তিন কোটি টাকা চেয়েছিলাম কিন্তু পাইনি।”
আর এর সাথে সাথেই কসবার ওই জাল টিকা কাণ্ডের ঘটনায় বিজেপির ষড়যন্ত্র হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিলেন। তিনি উদাহরণস্বরূপ বলেন, “হিং’সা’র ঘটনা প্রমাণ করার জন্য অনেক ভুয়ো ছবি ভাইরাল করা হচ্ছে। ইচ্ছা করেই সেই সকল ছবি ভাইরাল করা হচ্ছে। তাই এই জাল টিকা কাণ্ডেও বিজেপির হাত নেই কে বলতে পারে।”
তৃণমূলের মন্ত্রীদের সাথে দেবাঞ্জন দেবের ছবি ঘিরে বিরোধীরা যে সকল প্রশ্ন তুলছেন তার বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানিয়েছেন, “আশেপাশে বহু মানুষ ঘুরে বেড়ায়। কে বা কারা আশেপাশে আসছে তাদের সব সময় চেনা সম্ভব নয়। ছবি দিয়ে সবকিছু বিচার করা যায় না।”
এই কথা বলার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর একটি অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। অভিজ্ঞতার কথা তুলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “একবার আমি বিমানে তিন নম্বর আসনে বসে যাচ্ছিলাম। দেখলাম ২০ নম্বর আসন থেকে জুম করে আমার ছবি তুলেছে। ছবি ফটোশপ করা যায়। যারা প্রতারণা করে তারা ছবি তুলে রাখে।”
এর সাথে সাথেই ফিরহাদ হাকিমের সাথে দেবাঞ্জন দেবের ছবি প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাস্তায় বের হলে তো অনেকে ডাকেন। আর তখন যদি না দাঁড়িয়ে চলে যাওয়া হয় তাহলে আবার অনেকে বলে মেয়র কথা শুনছেন না। কথা বলার সময় কেউ ছবি তুলে নিয়েছে ফিরহাদের সঙ্গে।”